সংক্ষিপ্ত

রাশিয়া ও ইুক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা চলতি সপ্তাহেই তুরস্কে একটি বৈঠকে বসতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এর আগেও দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু দুটি বৈঠকই ব্যর্থ হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine war) ১৪তম দিনে (14 Days) আরও বেশি নৃশংসতা দেখিয়েছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেভেরোদোনস্টক শহরে (severodonestk town ) রাশিয়ার সেনা বাহিনীর (Russ Army) হামলায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি বড় শহরে অবিরাম গোলাবর্ষণ চলছে। বিপর্যস্ত হয়ে রড়েছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষরা। মস্কো সামরিক আগ্রাসন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করে করেছে কিয়েভ। 

রাশিয়া ও ইুক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা চলতি সপ্তাহেই তুরস্কে একটি বৈঠকে বসতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এর আগেও দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু দুটি বৈঠকই ব্যর্থ হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের প্রায় ২ কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির মতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন ভয়াবহ যুদ্ধের সম্মুখীন হয়নি ইউরোপ। রাশিয়ার প্রায় দেড় লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে ইউক্রেনের মত ছোট্ট একটি দেশে আগ্রাসনের জন্য। 

অন্যদিকে রাশিয়ার আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে করতে কিছুটা হলেও নরম হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, এমন একটি দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চান না যে দেশটি ন্যাটোর ( NATO) সদস্য হওয়ার জন্য হাঁটুগেড়ে ভিক্ষা চাইবে। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইউক্রেনের জন্য তিনি আর ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার জন্য চাপ দিবেন না। রাশিয়ার (Russia) সন্ধির শর্ত দেওয়ার পরই জেলেনস্কির এই মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। 

জেলেনস্কি আরও বলেছেন, যে ইউক্রেন বুঝতে পেরেছে ন্যাটো  কিয়েভকে সদস্যপদ দিতে এখনও রাজি নয়। তিনি আরও বলেন জোট একটি বিতর্কিত জিনিস । রাশিয়াকে এখনও বিশ্বের একাধিক দেশ ভয় পায়। অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও  ইউক্রেন যাতে ন্যাটোয় যোগ না দেয় তার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেবে মস্কো। কিন্তু অনেক দিন ধরেই ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হওয়ার দাবি জানিয়েছিল। তাতেই বাধা দিয়ে আসছিলেন পুতিন। দীর্ঘ দুই মাস টানাপোড়ের পরই ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশায় হঠাৎই ইউক্রেন আক্রমণের দামামা বাজিয়ে দেয়। যাতে চমকে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব।

 এদিনও জেলেনস্কি জানিয়েছেন তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত। তবে তিনি যে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চান তাও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন রাশিয়া দুটি অঞ্চল ছাড়া অন্য কোনও অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করেনি। তাই তা নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি। ওই দুটি এলাকা কীভাবে বাঁচানো যায় তার জন্য সমঝতা খুঁজতেও তিনি রাজি রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল যারা ইউক্রেনের অংশ হতে চায় তাদের ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্ত করা জরুরি। যারা ইউক্রেনীয় ভাষয় কথা বলে তাদেরও নিরাপত্তা দিতে হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন পুতিনের দেওয়া আলটিমেটামের জন্য প্রস্তুত নন। আলোচনা করেই সমস্যা সমাধান করতে হবে। 

অপারেশন গঙ্গার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামিল ডাক্তারি পড়ুয়ারা, মুখ্যমন্ত্রীকে খুলে বললেন মনের কথা
অস্ট্রেলিয়ার বৃষ্টিভেজা রাস্তায় কি ভিনগ্রহী পড়ে রয়েছে, জোর আলোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায়
ন্যাটোর জন্য আর ভিক্ষে করবেন না, তবে কি রুশ চাপের কাছে মাথা নত করতে চলেছেন জেলেনস্কি