সংক্ষিপ্ত

তামিল মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। সেই সময়ই তিনি প্রশ্ন করেন কতটা কষ্ট পেয়েছেন আপনারা। তার উত্তরে  ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা বলেন, সীমান্ত পার হওয়ার পরই ভারত সরকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়। 

ইউক্রেন (Ukraine) থেকে ফিরে অপারেশন গঙ্গার (Operation Ganga) প্রশংসায় পঞ্চমুখ তালিমনাড়ুর মেডিক্যাল পড়ুয়ারা (Tamil Medical Student)। তাঁরা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিমের (CM MK Stalin)সামনেই অপারেশন গঙ্গের প্রশংসা করেন। মঙ্গলবার ইউক্রেন ফেরত তামিল মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন স্ট্যালিন। সেইসময়ই তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের ঢালাও প্রশংসা করেন। 

এদিন তামিল মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। সেই সময়ই তিনি প্রশ্ন করেন কতটা কষ্ট পেয়েছেন আপনারা। তার উত্তরে  ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা বলেন, সীমান্ত পার হওয়ার পরই ভারত সরকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়। খাওয়া ও জলের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে। ভারত সরকার তাদের যন্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন ভারত যেভাবে অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় বিশেষত ছাত্রদের উদ্ধার করছে তা বিশ্বের আর কোনও দেশ করতে পারবে না। 

ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে অপারেশন গঙ্গা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেনের উদ্ধারকাজ নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ইস্যুতে ৬টিরও বেশি বৈঠক করেছেন তিনি। নিজেই খতিয়ে দেখছেন উদ্ধারকাজ। ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন। যুযুধান দুই দেশের কাছ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য সাহায্য চেয়েছেন। এদিন কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুমি থেকে সব মেডিক্যাল পডুয়াদের উদ্ধার করা হয়েছে। 

ইউক্রেনে ২হাজারেও বেশি ভারতীয় রয়েছে। তাদের সকলকেই উদ্ধার করা হবে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন আকাশ সীমায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার সরসারি ইউক্রেনে বিমান পাঠাতে পারছে না। প্রতিবেশী পোল্যান্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরিতে বেসরকারি বিমান ও বায়ু সেনার বিশেষ বিমান পাঠাচ্ছে। তবে এখন ইউক্রেনে প্রবল ঠান্ডা। যুদ্ধের কারণ খাবার আর জলের অভাবও দেখা দিয়েছে। তাই পড়ুয়াদের সীমান্ত পর্যন্ত আসাটাও অনেকটাই কষ্টসাধ্য।