সংক্ষিপ্ত

এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে ভারতে যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হতে পরে। থমকে যেতে পারে অতি স্বল্পপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার এবং নানা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি সুত্র থেকে এই আশঙ্কার কথা জানা গিয়েছে। 

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে (Russia-Ukraine war)চারিদিকে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেমন অগ্নিমূল্য হয়েছে বাজার তেমনই দাম বাড়ারও আশঙ্কাও রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন সেই দিনই ধস নেমেছিল শেয়ার মার্কেটে। রাশিয়ান ভোদকাকে বয়কট করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মত দেশগুলো। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাজয় রাখছে বলে খোদ ইউক্রেন কোকাকোলা ব্র্যান্ডকে বয়কট করে দিয়েছে। এদিকে আবার দুই দেশে গম সরবরাহ প্রক্রিয়া গোটা দেশ জুড়ে ব্যহত হওয়ায় আটা ময়দার দাম বৃদ্ধির একটা সংকেত ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। 

যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে গোটা দেশ জুড়ে বাণিজ্য পরিস্থিতি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। আর সেই প্রভাব পড়তে পারে এলআইসি-র (LIC) আইপিও (IPO)। চলতি মাসেই আইপিও-র ময়দানে আত্মপ্রকাশ করার কথা ছিল এলআইসি-র। কিন্তু বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে পারে এলআইসি-র আইপিও (LIC IPO May Pospond) এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে ভারতে যুদ্ধবিমান (Mig Fighter), ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত (Supply) হতে পরে। থমকে যেতে পারে অতি স্বল্পপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার এবং নানা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি সুত্র থেকে এই আশঙ্কার কথা জানা গিয়েছে। 

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়া থেকে টি-৯০ ট্যাঙ্ক, বিএমপি-২ সাঁজোয়া গাড়ি এবং মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান আমদানি করে ভারত। সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের একাংশও আসে রাশিয়া থেকে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সেই প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। থমকে যেতে পারে রাশিয়া থেকে ‘৯কে ৩৮ ইগলা’ অতি স্বল্পপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আমদানির প্রক্রিয়াও। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অলিপোভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ভারতকে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে দেরি করবে না রাশিয়া। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে দুটি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ভারতে এসে পৌঁছেছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে আরও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা। বলা বাহুল্য, নরেন্দ্র মোদীর আমলে মস্কোর সঙ্গে কেএ-২২৬টি হেলিকপ্টার কেনার বিষয়েও কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে নয়াদিল্লির।