সংক্ষিপ্ত
মার্কিন সফরে রয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কনের সঙ্গে। আর সেখানে অনিবার্যভাবে উঠে আসে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ। জয়শঙ্কর বলেন তেলের দাম আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে।
মার্কিন সফরে রয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কনের সঙ্গে। আর সেখানে অনিবার্যভাবে উঠে আসে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ। জয়শঙ্কর বলেন তেলের দাম আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। যা ভারতের মত দেশগুলির কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের। একই সঙ্গে ভারত কেন এখনও রাশিয়া থেকে তেল কিনছে তাও পরিষ্কার করে জনিয়ে দেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রীকে।
এদিন জয়শঙ্কর বলেন, ভারত এখনও রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। বিশ্ব বাজারে রাশিয়ান তেলের দাম অনেকটাই কম। জয়ঙ্কর বলেন ভারতে মাথাপিছু ২ হাজার মার্কিন ডলার অর্থনীতির দেশ। তাই তেলের এই দাম নিয়ে ভারতের প্রতিটি স্তরেই যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন তেলের এই বর্ধিত দাম ভারতবাসীর পিঠ ভেঙে দিয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া যাতে তেল থেকে যে টাকা আয় হয় যেন ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যায় না করে সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
এদিন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকও করেন। বৈঠক শেষে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে যা নিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলি গভীরভাবে উদ্বেগে রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া থেকে তেল না কেনার জন্য আর্জি জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু দেশ রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারত। রাশিয়া থেকে তেল না কেনার জন্য জি-৭ দেশগুলির ওপর চাপও তৈরি করছে বাইডেন প্রশাসন। এই অবস্থায়তেই মার্কিন সফরে রয়েছেন জয়শঙ্কর।
চলতি সফরে জয়শঙ্কর একাধিক মার্কিন মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময়, ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে -- যে "এটি যুদ্ধের যুগ নয়"। আলোচনার সময় মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে, মিঃ ব্লিঙ্কেন বলেন, "আমরা আরও একমত হতে পারিনি"। আজ এর আগে, মিঃ জয়শঙ্কর পেন্টাগনে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সাথে আলোচনা করেছিলেন।
গতকালই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে এবার সরব হলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি পাকিস্তান- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, যে ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আমেরিকার স্বার্থ পুরণ করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জয়শঙ্কর। রবিবার ওয়াশিংটনে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে রীতিমত চড়া সুরেই কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'এটি এমনএকটি পদক্ষেপ যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থপুরণ করবে না আবার পাকিস্তানের স্বার্থ পুরণ হবে না।'