সংক্ষিপ্ত

সৌদি আবর অতীতে চিনের থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল কিনেছিল। কিন্তু এর আগে কখনই সৌদি নিজেরা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার উদ্যোগ নেয়নি।

চিনের (China)সাহায্য নিয়ে সৌদি আরব (Saudi Arabia) ব্যালিস্টিক মিসাইল (ballistic missiles) তৈরি করছে। তেমনই দাবি করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। তারই মধ্যে সৌদির এই প্রয়াস মধ্য প্রাচ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ আরও যুযুধান হয়ে উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বলা হয়েছে পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্খা রোধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে চেষ্টা করছেন চিন ও সৌদির এই উদ্যোগে তা বাধা পেতে পারে। 

সৌদি আবর অতীতে চিনের থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল কিনেছিল। কিন্তু এর আগে কখনই সৌদি নিজেরা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার উদ্যোগ নেয়নি। গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সৌদি আবর একটি স্থানে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। সংবাদ সংস্থা সিএনএন দাবি করেছে স্যাটেসাইট চিত্রে দেখা গেছে সৌদি আরব চিনের সহযোগিতায় দেশেরই একটি এলাকায় পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। অনেকটা একই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। কারণ হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা কাউন্সিলসহ একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে একই তথ্য উঠে এসেছেন। 

তবে চিনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানান হয়নি। তবে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে, চিন ও সৌদি আরব -দুটি দেশই বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদার। সামরিক ও বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রেই বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে দুটি দেশের মধ্যে। চিনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে এজাতীয় সহযোগিতা কোনও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে না। গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তারকেও যুক্ত করে না। তবে ওয়াশিংটনের দূতাবাসের ব্যালিস্টিক মিসাইল সম্পর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কি প্রশ্নের উত্তরই দেয়নি সৌদি আরব। 


২০১৯ সালেই মার্কিন সংবাদ সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল সৌদি আরবের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে চিন। তবে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন সেই সময় এই বিষয়ে কোনও গুরুত্ব দেয়নি। ট্রাম্প সৌদি প্রশাসনের প্রতি অত্যান্ত নরম ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে ট্রাম্পের উদাসীনতায় সৌদি এই কর্মসূচি এতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। 

তবে সম্পূর্ণ অন্য রাস্তা নিয়েছে বাইডেন প্রশাসব। সৌদির প্রতি কঠোর পদক্ষেপও করতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত বাইডেন প্রশাসন সৌদিকে ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অস্ত্র বিক্রি করতে চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত চিনা সহযোগিতা নিয়ে মার্কিন প্রশাসন সৌদির ওপর চাপ তৈরি করেনি। আগামী দিনে সৌদির ওপর হোয়াইট হাউস চাপ বাড়াতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।