সংক্ষিপ্ত

এসসিও সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাতের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ঘটালেণ এক আজব কাণ্ড। যেখানে তাকে ইয়ারফোন কানে দিয়ে সাহায্যের জন্য বলতে শোনা যায়। 
 

এসসিও সম্মেলনের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের সমরকন্দে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর সেখেই তৈরি হল এক অপ্রস্তুতকর মুহূর্ত। 

বৈঠক শুরু করার সময়, শরিফ তার ইয়ারফোন লাগানোর চেষ্টা করার সময় একটি বিশ্রী মুহূর্তের সম্মুখীন হন। শরিফ তার ইয়ারফোন লাগাবার মুহূর্তে সমস্যা হওয়ার পরে সাহায্যের জন্য ডাকলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, "কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন?"।  এমনকি এই ঘটনা বাঁকা হাসিও  দেখা গিয়েছিল পুতিনের মুখে। শরিফের ইয়ারফোনটি আবার পড়ে যায় যখন একজক তাকে সাহায্য করতে আসে।  অবশেষে বৈঠক শুরু হয়। 

বৈঠকে পুতিন শরিফকে বলেছিলেন যে রাশিয়া পাকিস্তানে গ্যাস সরবরাহ করতে পারে কারণ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা টাস-এর মতে, পুতিন বলেছেন  রাশিয়া থেকে পাকিস্তানে পাইপলাইন মধ্যমে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে  অবকাঠামোর অংশ ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এর জন্যে রাশিয়া, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তানকে মিলে আফগান সমস্যার সমাধান করতে হবে।

কোভিড পরবর্তীকালে এসসিও প্রায় দুই বছর পর উজবেকিস্তানের সমরকন্দে প্রথম ব্যক্তিগত শীর্ষ সম্মেলন করছে। ১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলন দুটি অধিবেশনে বিভক্ত করা হয়েছে - একটি সীমাবদ্ধ অধিবেশন যা শুধুমাত্র এসসিও  সদস্য দেশগুলির জন্য, এবং অপর একটি বর্ধিত অধিবেশন পর্যবেক্ষক এবং বিভিন্ন দেশের বিশেষ আমন্ত্রিতদের জন্য৷

জুন ২০০১ সালে সাংহাইতে চালু করা এসসিও  এর ছয়টি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সহ আটটি পূর্ণ সদস্য রয়েছে। যে দেশগুলি হল চীন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। ভারত ও পাকিস্তান ২০১৭ সালে পূর্ণ সদস্য হিসেবে যোগ দেয়।
বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তখান তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজে মুখেই সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। দেশের অধিকাংশ এলাকা মূলত চাষের জমি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে প্রাণঘাতী বন্যা। আর সেই কারণে পাকিস্তানে খাবার ও জলের তীব্র সংকট রয়েছে। সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রী তুরস্তের রাষ্ট্রপতি এদোরগনকে ফোন করেছিলেন। সেই সময়ই তিনি এই কথা বলেন। অন্যদিকে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় খাবার , তাঁবু  ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।