সংক্ষিপ্ত
নাসা জানাচ্ছে একটি বড়সড় সান স্পট নজরে এসেছে। সানস্পটের গুরুত্ব হল এটি নির্ধারণ করে যে এই বিশাল সৌর শিখা পৃথিবীর কোন ক্ষতি করতে পারে কিনা।
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল সৌর শিখা(solar flare)। লেলিহান সেই শিখা নাকি শনিবারই আছড়ে পড়বে পৃথিবীর(earth) বুকে। বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে গোটা বিশ্বের জিপিএস সিস্টেম (GPS signals)। এমনই বার্তা দিয়ে টুইট করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা(NASA)।
নাসা জানাচ্ছে একটি বড়সড় সান স্পট নজরে এসেছে। সানস্পটের গুরুত্ব হল এটি নির্ধারণ করে যে এই বিশাল সৌর শিখা পৃথিবীর কোন ক্ষতি করতে পারে কিনা। এছাড়াও জানা গিয়েছে এই সান স্পটের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে শিখাটি সূর্যের কেন্দ্রে এবং পৃথিবীর মুখোমুখি জায়গায় অবস্থান করছে বলে বোঝা যায়।
নাসা টুইট করে জানিয়েছে, "POW! The sun just served up a powerful flare,"। নাসা শিখাটিকে X1 শ্রেণীভুক্ত করেছে। এই সৌর শিখা শনিবার পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউএস স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার (এসডব্লিউপিসি) অনুসারে, X1-শ্রেণীর শিখা দক্ষিণ আমেরিকাকেন্দ্রিক এলাকা জুড়ে একটি অস্থায়ী, কিন্তু শক্তিশালী রেডিও ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি করতে পারে।
নাসা আরও জানিয়েছে সোলার ফ্লেয়ারটি প্লাজমার বিশাল সুনামি তৈরি করেছে। প্লাজমা তরঙ্গটি প্রায় এক লক্ষ কিমি লম্বা ছিল এবং সূর্যের বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ১.৬ মিলিয়ন মাইল প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে চলে গেছে। সেই গতিতেই পৃথিবীর দিকে এগোচ্ছে এটি বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।
নাসা ব্যাখ্যা করেছে যে এক্স-ক্লাস সবচেয়ে তীব্র ফ্লেয়ারকে বোঝায়। এক্সের সঙ্গে যুক্ত সংখ্যাটি তার শক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়। একটি X2 ফ্লেয়ার, একটি X1 এর চেয়ে দ্বিগুণ তীব্র, একটি X3 তিনগুণ তীব্র ইত্যাদি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসার মতে, সৌর বাতাস হল চার্জযুক্ত কণা বা প্লাজমার ঘন স্রোত, যা সূর্য থেকে বেরিয়ে এসে মহাকাশে ভেসে বেড়াতে থাকে।
নাসা জানিয়েছে যে সৌর ঝড়ের ফলে উপগ্রহ সংকেত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সৌর ঝড়ের কারণে পৃথিবীর বাইরের বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হতে পারে যা উপগ্রহের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও এই সৌর ঝড় জিপিএস নেভিগেশন, মোবাইল ফোন সিগন্যাল এবং স্যাটেলাইট টিভিতে প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যহত হতে পারে পরিষেবা। প্রভাব পড়তে পারে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার লাইন বা ট্রান্সফর্মারগুলিতে।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসের পর ফের সেপ্টেম্বর মাসে সৌর ঝড়ের মুখোমুখি হয় পৃথিবী। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি, আরভিন এবং ভিএমওয়্যার রিসার্চের প্রকাশিত একটি নতুন রিপোর্ট অনুসারে, এই বৃহৎ সৌর ঝড় সম্পর্কে তথ্য মেলে। বলা হয়েছিল এই সৌর ঝড়ের প্রভাবে তছনছ হয়ে যেতে পারে গোটা পৃথিবীর ইন্টারনেট পরিষেবা। স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে যাবতীয় কাজকর্ম। বিশেষজ্ঞদের ভাষায় এই পরিস্থিতি 'internet apocalypse'।
আবদু জ্যোতি তার গবেষণায় জানিয়ে ছিলেন যে স্থানীয় এবং আঞ্চলিক ইন্টারনেট পরিষেবা সৌর ঝড়ের সময় চরম ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। পরিষেবায় স্থায়ী কোনও ক্ষতি হতে পারে এর ফলে। ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রে সাধারণত ফাইবার অপটিক ব্যবহার করা হয়। SIGCOMM 2021 সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এই গবেষক।
শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ
Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে
এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান
বিশাল সৌর ঝড় সর্বশেষ রেকর্ড করা হয়েছিল ১৮৫৯ সালে। এরপর ১৯২১ ও ১৯৮৯ সালেও সৌর ঝড় হয়। এতে হাইড্রো-কিউবেক পাওয়ার গ্রিড পুরোপুরি বসে যায়। ৯ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল কানাডা। এই সৌর ঝড় সূর্যের বায়ুমন্ডল থেকে উদ্ভুত। পৃথিবীর চৌম্বকীয় শক্তির ক্ষেত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শক্তি বৃদ্ধি করছে ক্রমশ। ফলে পৃথিবীর ওপর এর প্রভাব মারাত্মক ভাবে পড়বে।