সংক্ষিপ্ত
তালিবানদের হামলার বার্ষিকীর দিনেই সরকারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই অমানবিক ছিল। কাতারের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মিত্রবাহিনীরা রীতিমত চাপ তৈরি করেছিল।
কাবুল দখলের পর সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য প্রায় তিন সপ্তাহ সময় নিয়েছিল তালিবানরা। একের পর এক দিন করে পিছিয়ে ছিল সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এবার সেই একই জিনিস হল সরকার তালবান সরকার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৯/১১ হামলার কুড়িতম বার্ষিকীতেই তালিবান সরকারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তালিবানরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পিছিয়ে দিয়েছে। তবে একটি সূত্র দাবি করছে কারাতের রাজধানী দোহার চাপে পড়েই পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়েছে তালিবানরা।
কাতারের রাজধানী দোহাতে রয়েছে তালিবানদের রাজনৈতিক কার্যালয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র শক্তির সঙ্গে শান্তি আলোচনার অধিকাংশ বৈঠকও হয়েছে দোহাতে। কাতারের সঙ্গে তালিবানদের যে হৃদ্যতা রয়েছে তা অবশ্য আগেই প্রকাশ পয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তালিবানদের অন্যতম হিতাকাঙ্খী দেশ হিসেবে পরিচিত রাশিয়া স্পষ্ট করে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার দিনে তালিবানরা যদি নতুন সরকারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠান করে তাহলে তারা সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না। কিছুটা হলেও আপত্তি জানিয়েছিল কাতারও। তারপরই তালিবানরা পিছিয়ে আসে।
আফগানিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রনীতির অঙ্গ হিসেবে চিন, কাশিয়া, ইরান, তুরষ্কের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাইছে তালিবানরা। সেই জন্য সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে কাতারের পাশাপাশি বাকি দেশগুলিকেও আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল।কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাশিয়া ছাড়া বাকি কোনও দেশই আপত্তি জানায়নি। তবে রাশিয়া স্পষ্ট করে জানিয়েছিল অনুষ্ঠানের দিন বদল করা হলে রাষ্ট্রদূত স্তরের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
প্রিয় জনের আঘাতে ভেঙে গেছে মন, ভাঙা-হৃদয় জুড়তে এই ১০টি টিপস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
9/11: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার ২ দশক পরেও বিষাক্ত ধুলো, অসুস্থ করছে আমেরিকানদের
সূত্রে খবর তালিবানদের হামলার বার্ষিকীর দিনেই সরকারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই অমানবিক ছিল। কাতারের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মিত্রবাহিনীরা রীতিমত চাপ তৈরি করেছিল। আর সেই কারণেই তালিবানরা আপাতত দিন বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সঙ্গে কথা বসেছিলেন তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তালিবানরা যে সরকার গঠন করেছে আন্তবর্তীকালীন সরকার। এটি সুদূরপ্রসারি কোনও সরকার নয়। স্থায়ী সরকার গঠনের আগে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তাদের সঙ্গেও চুক্তি করা হবে। তাই স্থায়ী সরকারে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দেখা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী দুই থেকে এক মাসের মধ্যেই তালিবানরা স্থায়ী সরকার গঠন করবে। তালিবানরা আশা করছে বিদেশি প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানালে তারা আফগানিস্তান সফর করবেন।