সংক্ষিপ্ত

  • প্রেম দিবসের পরের ভোরেই ধেয়ে এল বড় বিপদ
  • তবে শেষ পর্যন্ত হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা
  • বিশালাকার একটি দ্রুতগতির গ্রহাণু বেরিয়ে গেল পৃথিবীরর পাশ দিয়ে
  • সংঘর্ষ হলে ধ্বংস হতে পারত মানব সভ্যতা

একদিন আগেই প্রেমের জোয়ারে ভেসেছিল গোটা পৃথিবী। কিন্তু, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিনটাই প্রেমাস্পদের সঙ্গে কাটানো শেষদিন হতে পারত। কারণ পরের দিন অর্থাৎ শনিবার ভোরেই ধ্বংস হতে চলেছিল পৃথিবী। তীব্র গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছিল একটি বিশাল আকারের গ্রহাণু। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিপদ কিছু ঘটেনি। এদিন ভোর ৬ টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ সেটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন এই মহাজাগতিক প্রস্তরখণ্ডের আকার মানুষের তৈরি এতদিনের মধ্যে তৈরি করা যে কোনও কাঠামোর থেকে বড়। এই মাপের একটি গ্রহানুর পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কয়েক লক্ষ লোকের মৃত্যু হতে পারে বলে সাবধান করেছিলেন মহাকাশবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা। এমনকী পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনেও বড় প্রভাব ফেলতে পারত। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ছিল একটি পারমাণবিক শীত শুরু হতে পারে, যার ফলে মানব সভ্যতার গণ-বিলুপ্তি ঘটতে পারত। সেই সঙ্গে এই 'ক্ষতিকারক' গ্রহাণু পৃথিবীর স্থলভাগে আঘাত হানলে পুরো একটা মহাদেশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারত।

তবে, নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিসের অ্যাস্টেরয়েড ওয়াচ বিভাগ জানিয়েছে শেষ পর্যন্ত পৃথিবী থেকে ৫.৭৭ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ৩.৫৯ মিলিয়ন মাইল নিরাপদ দূরত্ব দিয়ে চলে গিয়েছে। যা কিনা পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ১৫ গুণ। তাই বিপদ কিছু ঘটেনি।

২০০২ পিজেড ৩৯ নামে পরিচিত গ্রহাণুটি চওড়ায় প্রায় এক কিলোমিটার। আর এর গতি ছিল প্রতি ঘন্টায় ৫৪,৭১৭ কিলোমিটার। তাই এটিকে 'সম্ভাব্য ক্ষতিকারক গ্রহাণু' বা পিএইচএ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা আগেই মনে করছিলেন শেষ পর্যন্ত গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত করবে না। কিন্তু তাও তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। কারণ এই মাপের ও এই গতিবেগের গ্রহাণু যে কোনও সময়ই দিক পরিবর্তন করতে পারে। একবার পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের আওতায় পড়ে গেলে বিপদ এড়ানো যেত না।