সংক্ষিপ্ত

গোটা পৃথিবীকেই বিকল করে দিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারি

এবার এই মহামারি বিপদ বাড়চ্ছে সমুদ্রেও

সোমবার ছিল বিশ্ব সমুদ্র দিবস

এই দিনেই সামনে এল রীতিমতো ভয় ধরানো ছবি

 

গোটা পৃথিবীকেই বিকল করে দিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারি। এবার স্থলভাগ ছেড়ে এই মহামারি বিপদ বাড়চ্ছে জলেও। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষে তো বটেই। সোমবার ছিল বিশ্ব সমুদ্র দিবস। আর এই দিনেই সামনে এল রীতিমতো ভয় ধরানো ছবি। হংকং-এর সমুদ্র সৈকত থেকে ভূমধ্যসাগরের তলদেশ, সব জায়গাতেই জমছে রাশি রাশি ব্যবহৃত ফেস মাস্ক এবং গ্লাভস।

করোনাভাইরাসের একনও কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। সংক্রমণ রুখতে বিশ্ব ব্যাপী মানুষ মুখ ঢাকছেন ফেস মাস্কে, হাত ঢেকে রাখছেন গ্লাভস-এ। স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষবাকর্মীরা ব্যবহার করছেন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিপি। আর এই সব করোনা-বর্ম ব্যবহারের পর গিয়ে জমচে সেই সমুদ্রের বুকেই। তাতে করে সামুদ্রিক প্রাণীদের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। এতদিন সমুদ্রে টন টন প্লাস্টিকের বোতল, লাইটার, প্লাস্টিকের চামচ, প্লেট, স্ট্র জমা হত। এবার সেই সামুদ্রিক দূষণে জুড়েছে ফেস মাস্ক আর গ্লাভস।

সোমবার 'ওশানএশিয়া' সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা গ্যারি স্টোকস জানিয়েছেন কোভিড মহামারি সমুদ্রের বুকে বোঝা আরও বাড়িয়েছে। তাদের সাম্প্রতিক এক পরিদর্শনে হংকং-এর সৈকতের মাত্র ১০০ মিটারের মধ্য়েই ৭০ টি ডিসপোসেবল মাস্ক পাওয়া গিয়েছে। স্টোকস বলেছেন, বিশ্বের সবার মুখ এখন মাস্কে ঢাকা। এর প্রভাব একই সমুদ্রে দেখা যাচ্ছে।

শুধু হংকং-এই নয়, একই ছবি দেখা গিয়েছে ভূমধ্যসাগরের নিচে। সেখানেও অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক ব্যবহৃত ফেস মাস্ক এবং গ্লাভস পাওয়া গিয়েছে। ফ্রান্সের একটি এনজিও ভূমধ্যসাগরের তলদেশের জঞ্জাল পরিষ্কার করার কাজ করে। 'অপারেশন ক্লিন সি' নামে ওই এনজিও গত ২৩ মে ফেসবুকে সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া গ্লাভস মাস্কের ছবি পোস্ট করেছিল। এগুলি ছাড়াও আরও ২০০ লিটার বর্জ্য সমুদ্রের তল থেকে পরিষ্কার করেছে তারা।

মহামারির শুরুতেই মাস্ক, গ্লাভস, পিপিপি নষ্ট করার নির্দিষ্ট পদ্ধতি জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য  সংস্থা। কিন্তু, সম্প্রতি সমুদ্রের জলে এমন পরিমানে এই চিকিৎসা সরঞ্জামগুলি পাওয়া গিয়েছে, তাতে সেই গাইডলাইন কতটা মানা হচ্ছে তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এই সরঞ্জামগুলি সবই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। তাই এতে করে সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ বহুগুণে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে এইভাবে কোভিড সংক্রমণও অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।