সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনের (Ukraine) উপর অব্যাহত রাশিয়ার (Russia)হামলা। বিনা যুদ্ধে ময়দান ছাড়তে নারাজ ইউক্রেনও। এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে (War) প্রয়োজনে অস্ত্র (Arms) হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত ইউক্রেনের মহিলা সাংসদ ইনা সভসান (Inna Sovsun)।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। এখনও রুশ সেনার আগ্রাসন কমা তো দুরস্থ তা বেড়েই চলেছে। ইউক্রেন জুড়ে এখন শুধ বারুদের গন্ধ আপ স্বজন হারানোর হাহাকার। কিন্তু দেশের প্রতি প্রেম বা দেশাত্মবোধ থেকে এখনও এক পা পিছিয়ে আসেনি ইউক্রেন (Ukraine)। ধারে-ভারে রাশিয়ার থেকে পিছিয়ে থাকলেও এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ছোট্ট দেশটি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) হামলার জবাব দিতে ইউক্রেনের সেনা বাহিনীরা তো প্রাণপণ লড়াই করছেই। নিজেদের দেশকে রক্ষা করতে সেনার পাশাপাশি হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন সাধারণ নাগরিকরাও। দেশ রক্ষার লড়াইতে পিছিয়ে থাকতে নারাজ মহিলারাও। এবার প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে ময়দানে নামার কথা বললেন উইক্রেনের মহিলা সাংসাদ ইনা সভসান (Inna Sovsun)।
সংবাদ সংস্থা এএআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইনা সভসান বলেন,'যদি প্রয়োজন আসে আমি নিজে লড়াইতে নামতে প্রস্তুত যাতে কোনও রাশিয়ান আমার ঘর, শহর ও দেশে প্রবেশ করতে না পারে।' বন্দু হাতে নিজের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন ইউক্রেনের মহিলা সাংসদ। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সাক্ষাৎকারে ইন সভসান আরও বলেছেন,'আমি অস্ত্র বা বন্দুক ঘৃণা করি। কিন্তু দেশের প্রয়োজনে তা হাত তুলে নিতে আমি প্রস্তুত। আমি ময়দানে নামতেও প্রস্তুত ও আমার তরফ তেকে যতদূর দেশের জন্য সহায়তা করতে তৈরি। নিজের ভাই, বন্ধু ও ন্য়াটোর কাছ থেকে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণও আমি নিচ্ছি।' এছাড়াও তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন,'রাশিয়া যদি মনে করে ইউক্রেন একচা ছোট দেশ যা খুব সহজেই অধিকার করে নেওয়া যাবে, তাহলে তারা ভুল করছে। তারা জানে না এখনকার প্রত্যেক নাগরিক একজন সেনা ও লড়াই করতে প্রস্তুত। এখন আমাদের সেনার সংখ্যা ৪০ মিলিয়ন।' ইনা সভসানের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার ইউক্রেন বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না।
অপরদিকে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থা ক্রমেই খারা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ইউনাইটেড নেশনসের অনুমান রাশিয়ার হামলায় ১ লক্ষ ইউক্রেনের বাসিন্দা গৃহহীন হয়েছেন। দেশের বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন, জিসেভেন আওতাভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা ইউক্রেন প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে প্রস্তুত। ইউক্রেনের জন্য প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানা গিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ছেন ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী। এছাড়াও কিয়েভে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিষ্ক্রীয়করণের জায়ায় রুশ মিসাইল আঘাত হেনেছিল। যেই জায়গা থেক কোনও তেজস্ক্রিয় নির্গত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। ইউক্রেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে জানিয়েছে সেখান থেকে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই।
প্রসহ্গত, রাশিয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইউক্রেন (Ukrain)। কারণ রাশিয়ার (Russia) দেওয়া প্রস্তাব প্রথমে ফেরালেও দিনের শেষে সেই বেলারুশেই (Belarus) রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। তবে রাশিয়ার মত অনুযায়ী গোমেল শহরে নয়। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তেও তারা আলোচনায় বসবে। এখন দেখার সেই বৈঠক থেকে যুদ্ধ বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত হয় কিনা।