সংক্ষিপ্ত

চেরনোবিল এলাকায়তেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। সূত্রের খবর ইউক্রেন  ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলেনস্কি  বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকডান্ডার লুকাশেঙ্কোকে রবিবার একটি ফোন করেছিলেন। 

অবশেষে রাশিয়ার প্রস্তাবে রাজি হল ইউক্রেন (Ukrain)। কারণ রাশিয়ার (Russia) দেওয়া প্রস্তাব ফেরালেই দিনের শেষে সেই বেলারুশেই (Belarus) রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে। তবে রাশিয়ার দেওয়া গোমেল শহরে নয়। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তেও তারা আলোচনায় বসবে। 

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে চেরনোবিল এলাকায়তেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। সূত্রের খবর ইউক্রেন  ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলেনস্কি  বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকডান্ডার লুকাশেঙ্কোকে রবিবার একটি ফোন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানেই কিয়েভ জানিয়েছে মস্কোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রিপিয়াত নদীর কাছে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আলোচনায় বসবে। তবে পূর্ব কোনও শর্ত ছাড়াই আলোচনায় বসবে বলেও জানিয়েছেন জেলেনস্কি। 

এখানেই শেষ নয়, জেলেনস্কি আরও শর্ত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন লুকাশেঙ্কো ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সফর, আলোচনা ও ফিরে না আসা পর্যন্ত বেলারুশকে সমস্ত বিমান, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উড়াতে পারবে না। সেগুলি মাটিতেই রাখতে হবে। 

যদিও আগেই রাশিয়া বেলারুশে (Belarus) প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য। তারপরই মস্কো জানিয়েছিল গোমেল শহরে তারা ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি বৈঠক (Peace meet) নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি। কিন্তু রাশিয়ার এই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গেই নাকোচ করে দেয় ইউক্রেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন বেলারুশে রাশিয়ার সঙ্গে তাঁরা কোনও রকম আলোচনা করবে না। 

জেলেনস্কি জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশ থেকে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে।রুশ প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে জেনলস্কি বলেন, রাশিয়া যে কেবলমাত্র ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন নীতি নিয়েছে তাই নয়। এমন জায়গায় আলোচনায় বসতে চাইছে যে দেশটির ওপর রাশিয়ার একচ্ছত্র অধিকার রয়েছে। বেলারুশের পরিবর্তে ওয়ারশ, ইস্তাম্বুল বা বাকুতে যে তাদের আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন যে দেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয় না সেই দেশেই তিনি আলোচনার জন্য যেতে রাজি রয়েছেন। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। যুদ্ধের তৃতীয়দিনে প্রায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। রাজধানী কেয়েভে গতকালই পা রেখেছে রুশ সেনা। প্রায় তিন দিক থেকে রাশিয়া ঘিরে ফেলেছে ইউক্রেনকে। এই অবস্থায় রাশিয়া শান্তিচুক্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছে। যা প্রত্যাখান করেছে ইউক্রেন। প্রায় একাই লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন। এখনও পর্যন্ত ন্যাটো বাহিনী সেভাবে  ইউক্রেনকে সহযোগিতা করেনি। অথচ ন্যাটোর সদস্যপদ যাতে ইউক্রেন গ্রহণ না করে তার জন্যই রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছেন। অন্যদিকে রাশিয়াকে চাপে ফেলতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকা নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি রাশিয়া।