সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনে (Ukraine) গবেষণাগারে রয়েছে বায়ো ওয়েপন (Bio Weapon), এমনই অভিযোগ রাশিয়ার (Russia)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) সেই দেশের জনস্বাস্থ্য গবেষণাগারগুলিকে 'উচ্চ-হুমকির রোগজীবাণু'গুলি ধ্বংস করার সুপারিশ করল।
ইউক্রেনে (Ukraine) কি সত্যিই রয়েছে বায়ো ওয়েপন (Bio Weapon) বা জৈব অস্ত্র? দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া (Russia)। চলতি সপ্তাহের শুরুতেও, রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এবার রয়টার্স জানালো, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর (WHO)-এর পক্ষ থেকে, বিভিন্ন সংক্রামক এজেন্ট নিয়ে কাজ করা ইউক্রেনের জনস্বাস্থ্য গবেষণাগারগুলিকে 'উচ্চ-হুমকির রোগজীবাণু'গুলি ধ্বংস করার সুপারিশ করেছে। রাশিয়ান হামলায় সেগুলি গবেষণাগার থেকে বাইরের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা। তাহলে কি সত্যিই ইউক্রেনের গবেষণাগারে লুকিয়ে রয়েছে কোনও জৈব অস্ত্র?
দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়া দাবি করছে, মার্কিন সমর্থনে ইউক্রেনের গবেষণাগারগুলিতে জৈব অস্ত্র তৈরির কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, রাশিয়ার বিদেশ মন্তকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা (Maria Zakharova) দাবি করেন, রুশ বাহিনী সম্প্রতি ইউক্রেনে এমন নথিপত্র পেয়েছে, যাতে ইউক্রেনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) বায়োওয়ারফেয়ার ল্যাব পরিচালনা করার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। তিনি আরও বলেন, রুশ হামলা শুরুর ঠিক আগে ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্লেগ (Plague), কলেরা (Cholera), অ্যানথ্রাক্সের (Anthrax) মতো প্যাথোজেনগুলি ধ্বংস করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তারও প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে।
'দুর্ঘটনাজনিত বা ইচ্ছাকৃতভাবে' ইউক্রেনীয় জনস্বাস্থ্য গবেষণাগারগুলি থেকে যাতে কোনও 'উচ্চ-হুমকির রোগজীবাণু' ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সুরক্ষা প্রোটোকল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগেই এই গবেষণাগারগুলির সঙ্গে কাজ করেছিল 'হু'। এই কাজের অংশ হিসাবেই, ওই রোগজীবাণুগুলি ধ্বংস করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে, এই সুপারিশটি কখন জারি করা হয়েছে বা তা এখনও কার্যকর করা হয়েছে কিনা তা রয়টার্সকে জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা। একইসঙ্গে, 'উচ্চ-হুমকির রোগজীবাণু' বলতে ঠিক কোন কোন রোগের জীবাণু ধ্বংস করতে হবে, তাও নির্দিষ্ট করে জানায়নি তারা।
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (European Union) এবং বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা ইউক্রেনের এই গবেষণাগারগুলিকে সমর্থন করে। তাদের দাবি, ওই প্যাথোজেন এবং টক্সিনগুলি মানুষ এবং অন্য প্রাণীদের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে, কীভাবে সংক্রমণ ঘটে এবং কী উপায়ে তাদের ক্ষতিকর প্রভাবগুলির চিকিৎসা করা যেতে পারে - এই সব বিষয়ে গবেষণার জন্যই ওউ প্যাথোজেনগুলি নিয়ে কাজ করে ইউক্রেনের ল্যাবগুলি। এদিনই রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয় নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা।