সংক্ষিপ্ত

বাইডেন বলেছেন রাশিয়ার বুদ্ধিমত্তার বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন না। কিন্তু রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যহার করে তার ফল খুব একটা ভালো হবে না। তার সেই ফল ভুগতে হবে রুশ দেশের মানুষকে।
 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine war) ব্যাপ্তি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র (Chemical Weapons) ব্যবহার করে তাহলে তার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে মস্কোকে। পাশাপাশি রাশিয়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Third Wold War) জন্য উসকানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ  দিয়েছেন।বাইডেন আরও বলেছেন, তারা ইউক্রেনের রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করবে না। ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে যদি যুদ্ধ হয় তা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সমকক্ষই হবেয। যা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে আমেরিকা।

রাশিয়া ইউক্রেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিরুদ্ধে জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ করেছে। তারই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাশিয়াকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন রাশিয়া পশ্চিমের দেশগুলির বিরুদ্ধে যা বলছে তা হল সংঘাতের সময় মস্কো নিজে এই কাজ করতে পারে। তার জন্য আগে থেকেই একটি মতপ্রতিষ্ঠা করে নিজের দায় ঝাড়ে ফেলার পথ তৈরি করে রাখছে। 

বাইডেন বলেছেন রাশিয়ার বুদ্ধিমত্তার বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন না। কিন্তু রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যহার করে তার ফল খুব একটা ভালো হবে না। তার সেই ফল ভুগতে হবে রুশ দেশের মানুষকে।

রাশিয়া রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা বৈঠেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বলেছে, কিয়েভ জৈব অস্ত্র তৈরির ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ওপর ক্রমশই চাপ বাড়াচ্ছেন বাইডেন। রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে আমেরিকা। তারপরই রাশিয়া ইউক্রেন ও আমেরিকার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র সংঘে অভিযোগ করেছে। যদিও রাশিয়ার এই এই অভিযোগ প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালে জর্জিয়ার একটি পরীক্ষাগারে জৈব অস্ত্র তৈরি করছিল বলে সরব হয়েছিল রাশিয়া। 

১৮ দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine war)। রাশিয়ান হামলায় প্রায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। কিন্তু এখনই যে যুদ্ধে ইতিটানতে রাজি নন পুতিন (Putin) তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। শুক্রবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, সিয়ার ও মধ্যপ্রাচ্যের (Syria, Midle East) যোদ্ধাদের ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেখানে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানোর পরিকল্পনা সমর্থন করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মস্কো।