- Home
- World News
- United States
- ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যাক্স: ভারতের ক্ষতি নয়, আখেরে লাভই হবে! জানেন কীভাবে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যাক্স: ভারতের ক্ষতি নয়, আখেরে লাভই হবে! জানেন কীভাবে?
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর বিশাল ট্যাক্স চাপিয়েছেন। এতে দেশের ক্ষতি হবে ভেবে অনেকেই চিন্তিত। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতে ভারতের লাভই হবে। কীভাবে, জেনে নিন।
- FB
- TW
- Linkdin
)
ট্রাম্পের শুল্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা ভেবেছিলেন তাই করেছেন। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই বিভিন্ন দেশের উপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক চাপানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটাই কার্যকর করেছেন।
ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব ভারতের উপর পড়বে না: আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের উপর শুল্ক বাড়ানোয় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি বলেছেন, এতে ভারতের উপর প্রভাব পড়বে না, বরং আমেরিকার উপরই উল্টো প্রভাব পড়তে পারে। ভারতের এই নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
''আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে অনেক দেশের উপর প্রভাব পড়বে। তবে ভারতের পরিস্থিতি ভালো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা ভারতের জন্য একটা সুযোগও হতে পারে। কারণ, বিশ্ব বিনিয়োগ স্থিতিশীল বাজারের দিকে তাকায়। বর্তমানে ভারত সেই বাজারগুলোর মধ্যে একটি'', এমনটাই বলেছেন রঘুরাম রাজন।
ট্রাম্প মনে করছেন, শুল্ক বাড়ালে আমেরিকার লাভ হবে। কিন্তু রঘুরাম রাজনের মতে, এটা তাদের জন্য ক্ষতির সিদ্ধান্ত। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আমেরিকার জন্য আত্মঘাতী গোল-এর মতো। এতে আমেরিকার অর্থনীতিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রায় ৬০টি দেশের উপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই তালিকায় ভারতও রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ভারতের ক্ষতি নয়, লাভই হবে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ভারতের লাভ হবে।
ট্রাম্প শুল্ক বাড়ালেও ভারতের লাভ:
ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আমেরিকা থেকে রপ্তানি করা পণ্যের উপর অন্য দেশগুলো যে শুল্ক নেয়, তারাও সেই দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর একই হারে শুল্ক নেবে। অর্থাৎ, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে দেশ তাদের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করবে, তারাও তেমন ব্যবহার করবে। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই ট্রাম্প প্রতিশোধমূলক শুল্ক বসানো শুরু করেছেন।
সম্প্রতি ট্রাম্প ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়েছেন। ভারতের পণ্যের উপর ২৭ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি শুল্ক বসানো হয়েছে চীনের উপর, ৫৪ শতাংশ। এছাড়া ভিয়েতনামের উপর ৪৬, থাইল্যান্ডের উপর ৩৬ এবং বাংলাদেশের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। তবে ভারতের প্রধান প্রতিযোগী চীনের উপর বেশি শুল্ক বসানোয় ভারতের সুবিধা হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধি ভারতীয় বস্ত্র শিল্পের জন্য দারুণ সুযোগ। আমেরিকায় ভারত থেকে আমদানি করা বস্ত্রের বাজারে চীন ও বাংলাদেশের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতা চলে। তবে এখন ওই দেশগুলোর চেয়ে ভারতের উপর বেশি শুল্ক বসানো হবে। ফলে ওই বস্ত্রগুলোর দাম বাড়বে। এতে ভারতীয় বস্ত্রের চাহিদা বাড়বে এবং বস্ত্র শিল্প আরও উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার শুল্কের প্রভাব ওষুধ শিল্পের উপর তেমন পড়বে না। আমেরিকা যে ওষুধ আমদানি করে, তার উপর শুল্কের বোঝা চাপানো হয়নি। ফলে ভারতীয় ওষুধ শিল্প স্বস্তি পেয়েছে। আমেরিকায় ব্যবহৃত অনেক ওষুধই ভারত থেকে যায়। কম দামে ভালো মানের ওষুধ পাওয়ার কারণে আমেরিকানরা এগুলো বেশি ব্যবহার করে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় ওষুধ শিল্পের জন্য ভালো হবে।
ভারতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরির শিল্প সবেমাত্র গতি পেতে শুরু করেছে। আমেরিকা থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ান থেকে এই সেমিকন্ডাক্টর বেশি আমদানি করে। বেশি শুল্কের কারণে এগুলোর দাম বাড়বে। তবে ভারতীয় সেমিকন্ডাক্টরের দাম কম হওয়ায় এর চাহিদা বাড়তে পারে। ভারত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেমিকন্ডাক্টরের উৎপাদন বাড়ালে ভালো লাভ করতে পারবে।