সংক্ষিপ্ত
আমেরিকান সংস্থা থেকে ডিজিটাল কর নেয় কোন কোন দেশ? প্রশ্ন তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংস্থাগুলোর কাছ থেকে কোনও বিদেশি সরকার বাড়তি কর নিলে সেই দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা কর চাপাবে আমেরিকা। এমনই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সদ্য এই বিষয় প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবারই এই করের পরিমান ঘোষিত হতে পারে বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দফতর বিভিন্ন দেশে আছে। অভিযোগ, সেই সকল সংস্থার কাছ থেকে আদায় করা হয় ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স। অকারণ জরিমানা, ভিন্ন নিয়ম কার্যকর করে বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। এই বৈষম্য দূর করতে উদ্যোগ নিল ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক বলেন, আমেরিকার সংস্থার কাছ থেকে বাড়তি কর আদায় করে অন্য দেশ লাভবান হোক, চান না প্রেসিডেন্ট। তাঁদের দাবি, আমেরিকান সংস্থার কাছ থেকে কর নিতে পারবে শুধু আমেরিকার সরকারই। অন্য কোনও দেশের সরকার নয়।
এই নির্দেশ জারি হওয়ার পর কোন কোন দেশে আমেরিকার সংস্থা বৈষম্যের শিকার তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয় ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল কর নিয়ে অন্যান্য দেশে আমেরিকান সংস্থাগুলোর সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা সাংঘাতিক। ফলে আমরাও ডিজিটাল নিয়ে এ বার বর পদক্ষে করব। হয়তো আজই তা ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স নিয়ে জটিলতা চলছে অনেক দিন ধরেই। এর আগে ডিজিটাল কর নিয়ে কানাডা ও ফ্রান্সের নাম করে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। অভিযোগ, এই দেশগুলোতে আমেরিকার সব সংস্থা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে। শুধু আমেরিকান বলেই তাদের থেকে বাড়তি কর নেওয়া হয়। অভিযোগ, কানাডা ও ফ্রান্স শুধু আমেরিকান সংস্থাগুলোর থেকে কর বাবদ প্রতি বছর ৫০ কোটি ডলার আদায় করে থাকে। এ সব ক্ষেত্রে আমেরিকা পাল্টা কর চাপালে গোটা প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য আসবে বলে মনে করেন তিনি।