সংক্ষিপ্ত
নাসার রিপোর্টে বলা হয়েছে '২০২৪ওয়াইআর৪'গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা মাত্র ৩.১ শতাংশ। তবে এখনই ২০৩২ সালের আগে এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছ়ড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। নাসা জনিয়েছে, ৬১ হাজার কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি বিশাল গ্রহাণু। যার নাম দেওয়া হয়েছে '২০২৪ওয়াইআর৪' । এই বিশাল গ্রহাণুটিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।
নাসার রিপোর্টে বলা হয়েছে '২০২৪ওয়াইআর৪'গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা মাত্র ৩.১ শতাংশ। তবে এখনই ২০৩২ সালের আগে এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছ়ড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। নাসা জানিয়েছে, ২০৩২ সলের ২২ ডিসেম্বর ধ্বংস হতে পারে বিশ্ব। কারণ এটি যদি পৃথিবীর বুকে আছ়ড়ে পড়ে তাহলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। এখন থেকেই বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন।
'২০২৪ওয়াইআর৪' গ্রহাণুটি প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর। তখন থেকেই নাসার বিজ্ঞানীরা এর গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছেন। নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়েছে '২০২৪ওয়াইআর৪'গ্রহাণুর গতিপথ প্রধানত পূর্ব প্রশান্তমহাসার, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশ, আটলান্টিক মহাসাগর, আফ্রিকা, আরব সাগর ও দক্ষিণ এশিয়া। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। নাসার পক্ষ থেকে এই এই অঞ্চলগুলির জন্য রয়েছে বিশেষ সতর্কতা।
নাসা রিপোর্টে বিশেষ করে উল্লেখ করেছে মুম্বই, কলকাতা, বারোটা, আবিদজান, লাগোস, খার্তুম- এই শহরগুলি। রিপোর্টে বলা হয়েছে এই শহরগুলির ওপর '২০২৪ওয়াইআর৪'গ্রহাণু আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্টে আরও বল হয়েছে গ্রহাণু যদি পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ে তাহলে শুধু শহর বা কোনও একটি এলাকা নয়, বিশ্বের পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। যার ফলে বড় ক্ষতি হতে পারে।
তবে নাসার এই সতর্কতা নিছকই কল্পবিজ্ঞনের কল্পকথা নয়। এটি একটি বাস্তব ঘটনা। তাই বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। যদিও বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই এই গ্রহাণু মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।