সংক্ষিপ্ত
ভিডিওতে ওরিয়ন মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শব্দের গতির ৩২ গুণ গতিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছিল ওরিয়ন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা গত বছর আর্টেমিস-১ মিশন শুরু করে। মিশনের আওতায় চাঁদে পাঠানো হয় ওরিয়ন মহাকাশযান। ওরিয়ন মহাকাশযানটি ২৫ দিনে ২২ লক্ষ কিলোমিটার ভ্রমণ শেষ করে ১১ ডিসেম্বর ২০২২-এ পৃথিবীতে ফিরে আসে। এই ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলে নাসা একটি মজার ভিডিও শেয়ার করেছে। ভিডিওতে ওরিয়ন মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শব্দের গতির ৩২ গুণ গতিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছিল ওরিয়ন।
নাসা ওরিয়ন মহাকাশযানের ডিজাইন করেছে এই উদ্দেশ্য নিয়ে যে এটি একদিন মহাকাশচারীদের গভীর মহাকাশে নিয়ে যাবে। নাসার সর্বশেষ ভিডিওতে দেখা যাবে যে ওরিয়ন মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় বায়ুমণ্ডল কেমন ছিল। ভিডিওতে মহাকাশযান থেকে স্ফুলিঙ্গ বের হতে দেখা যায়। খুব কর্কশ শব্দও আছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওরিয়ন মহাকাশযান বা ক্যাপসুল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ২,৮০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার সম্মুখীন হয়েছিল। সেই মিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল ওরিয়ন ক্যাপসুলের তাপ ঢাল পরীক্ষা করা। ওরিয়ন মহাকাশযান এতে অনেকাংশে সফল হয়েছিল। ওরিয়ন ক্যাপসুলটি ২০১৪ সালে প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল। যাইহোক, সেই সময় এটি পৃথিবীর কক্ষপথে থেকে যায় এবং প্রতি ঘন্টা ২০ হাজার মাইল বেগে ফিরে আসে। গত বছর, এটি চাঁদ প্রদক্ষিণ করে প্রথমবারের মতো পৃথিবীতে ফিরে আসে।
নাসার আর্টেমিস মিশনের উদ্দেশ্য হল মানুষকে আবার চাঁদে পাঠানো। এটি আর্টেমিস-১ মিশনের মাধ্যমে ওরিয়ন মহাকাশযান পরীক্ষা করেছে। আসন্ন আর্টেমিস মিশনও মানুষকে পাঠাবে, কিন্তু নভোচারীরা চাঁদে নামবে না। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার পরই তারা পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এই দশকের শেষ নাগাদ আবারও চাঁদে মানুষকে অবতরণ করার পরিকল্পনা করছে নাসা।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।