সংক্ষিপ্ত
- ঐতিহাসির যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তি স্বাক্ষরিত
- ১৪ মাসের মধ্যে সেনা সরাবে যুক্তরাষ্ট্র
- ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে রয়েছে মার্কিন সেনা
- এখনও সেই দেশে রয়েছে ১২,০০০ মার্কিন সেনা
অবশেষে তালেবানদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। আর এই চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে সেনা সরিয়ে নেবে আমেরিকা, তবে তালেবানদের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তাহলেই সরানো হবে সেনা।
আরও পড়ুন: নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি নিয়ে ফের তৈরি সংশয়, রাষ্ট্রপতির কাছে আবার প্রাণভিক্ষা অক্ষয়ের
আরও পড়ুন: করোনার থাবা এবার উত্তর কোরিয়াতেও, প্রথম আক্রান্তকে গুলি করে মারলেন কিম
সুদীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে শান্তির পথে আরও একধাপ এগোল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান। কাতারের রাজধানী দোহায় শিনবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙেগে তালেবান প্রতিনিধিদের এই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দীর্ঘ একমাসের আলোচনার পরেই চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে এগোয় দুই পক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আর এই ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থাকল ভারতও। উপস্থিত ছিলেন কাতারে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পি কুমারন। ভারত ছাড়াও পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান সহ আন্তর্জিতক বিভিন্ন প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল চুক্তি স্বাক্ষরের সময়। চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে আমেরিকা এবার তাদের সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে ধীরে ধীরে ফেরাতে শুরু করবে। এরফলে আফগানিস্তানে গত আঠারো বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান সরকারের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, ''যুক্তরাষ্ট্র-তালেবানের চুক্তি অনুযায়ী তালেবানরা যদি তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তাহলে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে অবশিষ্ট সকল সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে যৌথবাহিনী।''
২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করতে অভিযান শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দুই পক্ষের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২৪০০ বেশি মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। এখনও আফগানিস্তানে প্রায় ১২ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।