সংক্ষিপ্ত
- করোনার শিকার দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
- ভাইরাস পৌঁছে গেছে প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়াতেও
- করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথা ধামাচাপা দিচ্ছে কিমের দেশ
- দাবি করল দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম
চিনের করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে। চিন মূল ভূখণ্ড পেরিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে। হিসেব বলছে পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশ আক্রান্ত এই মারণ ভাইরাসে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থা হু। শোনা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার মত দক্ষিণ কোরিয়াতেও ছড়িয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কিন্তু সুকৌশলে সেই খবর চেপে রেখেছে কিং জং উনের দেশ। এমনকি করোনা আক্রান্ত রোগীকে খুন করার কথাও ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চরম খাদ্য সঙ্কটে মেরুভল্লুকদের প্রজাতি, খিদের জ্বালায় নিজের সন্তানকে খেল মা
এমনিতে উত্তর কোরিয়ার অন্দরে কী ঘটছে তা কারওউ জানার সাধ্য নেই। একমাত্র ভরসা দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম। তারাই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির ভিতরের খবর জানার চেষ্টা করে। সেখান থেকেই খবর ছড়ায় দেশ-বিদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলিতে। তাই উত্তর কোরিয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীকে মেরে ফেলার খবর বেজিংয়ের এক সংবাদমাধ্যম এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম তুলে ধরলেও এই খবরের সত্যতা জানা যায়নি। নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কোনও খবরই এখনও পর্যন্ত জানায়নি পিয়ংইয়ং।
আরও পড়ুন: যাত্রী ভর্তি বিমানে উড়ে বেরাচ্ছে জোড়া পায়রা, ভাইরাল হল ভিডিও
তবে করোনা আটকাতে সেদেশ কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ছাড়াও সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি চালান হচ্ছে। বিদেশ থেকে ভাইরাস আমদানি হতে পারে এমন আশঙ্কায় সীমান্ত সিং করতে নির্দেশ দিয়েছেন শাসক কিম। অবস্থা মোকাবিলায় শুক্রবার রীতিমত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেনা-মহড়া হয়েছে কিমের দেশে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, সেনার মহড়ায় খুশি দেশের প্রধান কিং জং উন। এর পাশাপাশি অবশ্য সরকারি আধিকারিকদের সতর্ক করে দিয়ে কিম বলেছেন, ভাইরাস দেশে ঢুকে পড়লে ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ফল মোটেই ভাল হবে না।