সংক্ষিপ্ত

  • অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার বন্দুকবাজদের হামলা 
  • ৬জায়গায় হামলায় নিহত ৩ নাগরিক 
  • পুলিশের গুলিতে এক বন্দুকবাজের মৃ্ত্যু 
  • ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 

বিক্ষিপ্ত সন্ত্রাসবাদী হামলায় ত্রস্ত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। একাধিক জায়গায় গুলি চালিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা কমপক্ষে তিন জনকে হত্যা করেছে। বেশ কয়েক গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালের মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আর এই ঘটনাকে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার সেবাস্তিয়ান কুর্জ ভয়ঙ্কর সস্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক বন্দুকধারী সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় তল্লাশি চালান হচ্ছে। 

অস্ট্রিয়া প্রশাসন জানিয়েছে সোমবার রাত থেকেই বেশ কয়ের রাইফেল নিয়ে রাজধানী ভিয়েনার কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত সিনাগগের কাছে আলাদা আলাদ ছয়টি জায়গা হামলা চালায়। আর তাতেই মৃত্যু হয়ে তিন জনের। করোনভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নতুন করে আবারও লকডাউনের পথে হাঁটার শুরু করতে চলেছিল অস্ট্রিয়া। কিন্তু নতুন করে লাকডাউন শুরু হওয়ার আগেই সন্ত্রাসবাদী হামলার সাক্ষী থাকল এক দেশটি। স্থানীয় প্রশাসনের কথায় প্রায় ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হালায় আহত হয়েছে এক পুলিশ কর্তাও। এই হামলায় কজন জড়িত ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ এই হামালা চালান হয়। স্থানীয়দের কথায় রাত আটটার সময় প্রথম গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। পরে বারবার গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। 


অস্ট্রিয়ায় এই সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হামলায় ঘটনা দু)খজনক বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। চরম এই দুঃখের সময় ভারত অস্ট্রিয়ার পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অনেক রাষ্ট্রপ্রধান। ইউরোপিয় কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিশেল সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন এটি একটি কাপুরুষোচিত আচরণ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন তিনি। চেক পুলিশ জানিয়েছে তাঁরা অস্ট্রিয়ার সীমান্ত তল্লাশি চালাচ্ছে। 


অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার স্থানীয় প্রশাসন পুলিসের গুলিতে এক বন্দুকবাজের মৃত্যু হলেও বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তবে হামলা প্রতিহত করতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন চ্যান্সেলার কুর্জ। তিনি আরও বলেন বড় বড় বিল্ডিংগুলি সুরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করবে সেনা। জরুরি পরিষেবাকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা পাল্টা হামলা চালাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।