সংক্ষিপ্ত

দোদ্যুল্যমান বিশ্বে কারও হাতই ধরেননি মোদী। আর ভারতের এই অবস্থানই যেন পছন্দ হয়েছে পুতিনের। গোঁসা হয়েছে আমেরিকা-ব্রিটেন-জাপানের উপর।


রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের হাত ধরে গোটা বিশ্বেই বাজছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। এদিকে আগ্রাসী রাশিয়াকে ঠেকাতে ইতিমধ্যেই পুতিনের দেশের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। লাগাতার যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে এসেছে ব্রিটেন, জাপানের মতো দেশগুলি। এমনকী রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটিতে এই দেশগুলি পুতিন বিরোধী অবস্থানই নিয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থা নিয়েছে ভারত। দোদ্যুল্যমান বিশ্বে কারও হাতই ধরেননি মোদী। আর ভারতের এই অবস্থানই যেন পছন্দ হয়েছে পুতিনের। গোঁসা হয়েছে আমেরিকা-ব্রিটেন-জাপানের উপর। এমতাবস্থায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্রমবর্ধমানতা এখন মহাকাশেও পৌঁছেছে।


সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে রাশিয়া একটি মহাকাশযানকে পুনরায় রঙ করেছে। যাতে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জাপানের পতাকা মুছে ফেলা হয়েছে। তবে মোছা হয়নি ভারতের পতাকাকে। রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা রসকোসমস রকেটের পুনরায় রং করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এমকি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। সংঘাতের আবহেই মিষ্টি ভাষায় তোপও দেগেছে ইউক্রেনের পক্ষে থাকা দেশগুলির উপর।তাদের সাফ দাবি কিছু পতাকা ছাড়া রকেটটিকে আরও সুন্দর দেখাবে। রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা রসকোসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগজিন বুধবার একটি রাশিয়ান মহাকাশ রকেটের ভিডিও শেয়ার করেন। তাতেই দেখা যাচ্ছে রাশিয়ান মহাকাশ কর্মীরা কিছু দেশের পতাকাকে ঢেকে দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ

আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ

আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি শেয়ার করে রোগজিন লিখেছেন, "লঞ্চাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কিছু দেশের পতাকা ছাড়া আমাদের রকেট আরও সুন্দর দেখাবে।" মজার বিষয় হল, মহাকাশ সংস্থাটি ভারতীয় পতাকাকে এই ক্ষেত্রে পুরোপুরি ভাবেই অক্ষত রেখেছে। এটি লক্ষণীয় যে ভারত এর আগে ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। ভারতীয় পতাকা দিয়ে মহাকাশযানটির পুনরায় রং করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছিলেন। বিশেষ করে খারকিভ শহরে যেখানে অনেক ভারতীয় ছাত্র আটকে আছে সেখান থেকে তাদের ফেরানোর বিষয়েও কথা বলেন। এমনকি ফোন করেন ইউক্রেনেও। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে পড়ে ইতিমধ্যেই দুই ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুও হয়েছে। যাতে নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ। এদিকে সেদেশে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারে ইতিমধ্যেই জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে মোদী ব্রিগেড।