সংক্ষিপ্ত

সহজ কথায় মুর্শিদাবাদ জেলায় রয়েছে মোট সাতটি পৌরসভা। রবিবার নির্বাচন হয়েছে ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, বেলডাঙা ও কান্দি পৌরসভাতে। একটা সময়ে কংগ্রেসের গড় ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা।

পুরভোটের আবহে তপ্ত বাংলার মাটি। রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ পর্বে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক অশান্তির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। শাসক দলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ উঠেছে অধীরগড় মুর্শিদাবাদেও। এমনকী জনমতের পূর্বাভাস যেদিকে বইছে তাতে এটা স্পষ্ট যে এবারে মুর্শিদাবাদের সিংহভাগ পৌরসভারই দখল নিতে পারে শাসক তৃণমূল। এদিকে এই জেলার অন্যান্য পৌরসভার মধ্যে বরাবরই রাজনৈতিক ভাবে উত্তপ্ত থেকেছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ(Ziaganj-Azimganj)। এদিকে এই পৌরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা রয়েছে ১৭টি। শেষ পৌরসভা নির্বাচনে এই পৌরসভায় যদিও খাতাই খুলতে পারেনি শাসক দল (Trinamool Congress)। ১৭টির মধ্যে ৫টি জিতেছিল বামেরা(CPIM)। ৪টি জিতেছিল কংগ্রেস(Congress)। অন্যদিকে ৬টি গিয়েছিল নির্দলদের দখলে। এবার ভোটের ফল কী হয় সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। অন্যদিকে ২০১৬ সালে বেশিরভাগ জয়ী কাউন্সিলর তারা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস যোগদান করেন। ফলে শাসকদল তৃণমূল হাতে চলে যায় জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভা। এবারে সেই খেলা নতুন করে ঘোরে কিনা সে দিকেই নজর রয়েছে সকলের।

এদিকে ভাগীরথী নদীর ধারে অবস্থিত জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ শহর নিয়েই তৈরি জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভা। ভাগীরথী গঙ্গার পশ্চিমতীরে আজিমগঞ্জ; পূর্বদিকে জিয়াগঞ্জ বালুচর, এটি জৈন বণিকদের আদি বাসস্থল। এখানকার বালুচরের সিল্কের শাড়ির খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজোড়া। রেশম এখানকার বাণিজ্যের প্রধান বস্তু হিসাবে সুপরিচিত ছিল। আঠারো শতকের প্রথম থেকে বাণিজ্যের আকর্ষণে বিভিন্ন বণিক পরিবার যেমন লছমিপৎ সিংহ ও ধনপৎ সিংহের পরিবার, নাহার পরিবার, দুধোরিয়া পরিবার, নওলাক্ষা পরিবার মুর্শিদাবাদ নগরের বাইরে বাস করতে শুরু করেন। এখানে প্রথম ব্যবসা স্থাপন করেন বাহাদুর সিংহ। বর্তমানে এই পৌরসভা মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৯৭৬জন। পুরুষ ভোটার ২১হাজার ৫৯০জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ২২হাজার ৩৮৫জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১জন। এদিকে পৌর নির্বাচনের ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যাবে মুর্শিদাবাদ জেলাতে দীর্ঘ সাত বছর পর পৌরসভার নির্বাচন আয়োজন হচ্ছে। তবে এর মধ্যে বহরমপুর পৌরসভার শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। তারপর ২০১৮ সালে মেয়াদ শেষ হলেও প্রশাসক দিয়ে বহরমপুর পৌরসভা পরিচালিত হয়েছে। বাকি ছটি পৌরসভার ২০২০ সালে মেয়াদ শেষের পর বর্তমানে পৌর প্রশাসক দিয়ে পৌরসভা পরিচালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের

আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে

সহজ কথায় মুর্শিদাবাদ জেলায় রয়েছে মোট সাতটি পৌরসভা। রবিবার নির্বাচন হয়েছে ধুলিয়ান, জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, বেলডাঙা ও কান্দি পৌরসভাতে। একটা সময়ে কংগ্রেসের গড় ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা। কিন্তু শেষ লোকসভা থেকে ভাঙনের শুরু। হাত শিবিরে সেই ভাঙন অব্যাহত ছিল শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও। এদিকে পুর নির্বাচন উপলক্ষ্যে মুর্শিদাবাদে প্রচারে খামতি রাখতে চায়নি কোনও রাজনৈতিক দলই। 

আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার