সংক্ষিপ্ত

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনে বসবাসকারী রুশ ভাষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।  নব্য নাৎসি  শাসকদের হাত থেকে। ইউক্রেনে রুশভাষীদের ধরে ধরে মারা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ ছিল।

রাশিয়ার হামলার বিধ্বস্ত ইউক্রেন। একের পর এক পতন হচ্ছে বড় বড় শহরের। কিন্তু এখনও হার স্বীকার করেনি ইউক্রেন। দেশের স্বাধীনতা বিসর্জন দেওয়ার আগে শেষ চেষ্টা  করে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ইউক্রেনের ন্যাশানাল গার্ড একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে একাধিক ট্যাঙ্ক গুলি করেছে। সেগুলির টার্গেট একটি রাশিয়ান সমর যান। রাশিয়ার সমরযানগুলির বিধ্বস্ত শহরের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একটি শেলও নিক্ষেপ করা হয়েছে। 

ইউক্রেনের ন্যাশানাল গার্ড একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন লুহানস্ক অঞ্চলের রুবিঝনে ক্রমাগত এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ সৈন্যর আর্টিলারি গোলাগুলিতে ধ্বংস হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। কিন্তু সেখানে এখনও ইউক্রেনীয় সেনা বাহিনী একটি অবাস্তব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনীয় সেনা বাহিনী শেষ পর্যন্ত লড়াই করছে। 


রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনে বসবাসকারী রুশ ভাষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।  নব্য নাৎসি  শাসকদের হাত থেকে। ইউক্রেনে রুশভাষীদের ধরে ধরে মারা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ ছিল। আর সেই কারণ নাকি তিনি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যুদেরে এতগুলি দিন পরে রুশ সৈন্যে দেশের পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এই এলাকায়ে ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দীর্ঘদিন দিন ধরেই রুশ সৈন্যের মদতে তাণ্ডব চালিয়ে গেছে। ইউক্রেনে হামরা আগেই অবশ্য ক্রেমলিন ডোনেটস্ক ও লুহানস্কের দুটি স্বঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বর্তমানে মস্কো ডনবাস এলাকায় জোরদার আক্রমণ করছে। ২০১৪ সাল থেকেই এই এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া চেষ্টা করছে রাশিয়া। 

তবে ডনবাস দখলে রাখতে যে ইউক্রেন চেষ্টা করবে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে জেলেনস্কির কথায়। তিনি বলেছেন, রাশিয়া যতই সেনা পাঠাক ইউক্রেনের সেনারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। ইউক্রেন নিজেদের নিজেরাই রক্ষা করবে। 

আগেই লুহানস্ক ও ডনবাস এলাকায় হামলার পূর্বাভাস দিয়েছিল রাশিয়া। সেইমত ইউক্রেনও প্রচুর মানুষদের সরিয়ে নিয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত ৩০ শতাংশ মানুষ রয়ে গেছে। তাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। 

ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন রুশ বাহিনী সোমবার থেরেই লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে আক্রমণ তীব্র করেছে। এই দুটি এলাকাই ডনবাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্যদিকে ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ক্রিমিয়াতেও সেনা পাঠাচ্ছে ক্রেমলিন। 

অন্যদিকে কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে খারকিভ, বাখমুতের মত যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরগুলি। তবে পূর্ব ইউক্রেনের পাশাপাশি রাশিয়ান সেনা বাহিনী ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিবেই আক্রমণ করছে। বেশ কিছু অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পোল্যান্ডের কাছে অবস্থিতি লাভিবে ইতিমধ্যেই মিসাইল হামলায় কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এই এলাকায় এতদিন ধরে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। কারণ এই শহরে থেকেই মানুষ সমান্ত পার হয়ে পোল্যান্ডে চলে যাচ্ছিল। 

মারিউপোল- ইউক্রেন প্রশাসন জানিয়েছে রাশিয়ার হামলায় প্রায় বিধ্বস্ত মারিউপোল। একটি স্টিলের কারখানায় ইউক্রেনীয় বাহিনী রয়েছে। সেটাই রাশিয়ার কাছে শেষ বাধা। এই স্টিল কারখানা রয়েছে শহের দক্ষিণ প্রান্ত। তবে এখনও ওই স্টিল কারখানা থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ সেনাকে আটকানের চেষ্টা করছে। কারখানায় সাধারণ মানুষও আশ্রয় নিয়েছে. 

বানান ভুল বলার 'সাজা', দলিত সম্প্রদায়ের নাবালককে দিয়ে নিজের পা চাটাল উচ্চবর্ণের তরুণ

জাহাঙ্গীরপুরীতে ৯টি বুলডোজার আটকে দিলেন CPM নেত্রী বৃন্দা কারাত, রুখে দিলেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙা

দিল্লির পর এই শহরেও কোভিড-১৯এর কালো ছায়ায়, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ভাঙল মার্চের রেকর্ড