সংক্ষিপ্ত

সরকারি তথ্য অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৭। মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ লক্ষের বেশি

দিল্লির পর এবার কোভিড-১৯এর কালো মেঘ দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের আকাশে। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে মুম্বইতে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫।  ৩ মার্চের পর এই প্রথম মুম্বইয়ে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮০টির গণ্ডী পার হল। কারণ শেষবার এই শহরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ মার্চ ৮০ রেকর্ড করা হয়েছিল। 

সরকারি তথ্য অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৭। মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ লক্ষের বেশি। আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রম তালিকায় এখনও পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তবে রাজ্যের চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন এখনও ভয়ের কোনও কারণ নেই। পাশারাশি তাঁকা সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে মহারাষ্ট্রের এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই কম। 

২ এপ্রিল থেকে এই রাজ্যে উঠে গেছে কোভিড বিধি । শনিবার থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অথচ এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আক্রান্তের হার অনেকটাই কমেগেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও রাজ্যপ্রশাসন জানিয়েছে। সেই সময়  রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে বলেছিলেন, বর্তমানে রাজ্যে আক্রান্তের দৈনিক একশোতে নেমে এসেছে। ইতিবাচকতার হার ৪ শতাংশ। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড টাস্কফোর্সের সঙ্গে পরামর্শ করেই রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা নিচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন সেই কারণে মহারাষ্ট্র থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের বিধানগুলি প্রত্যাহার করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে ক্রমশই নতুন করেন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশেষত দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ এলাকাতেই মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চিকিৎসকরাও মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি ভিড় এড়িয়ে চলার ও নিরাপদ দূরত্ববিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন।  অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াবার কথাও বলা হয়েছে। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- বর্তমানে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে কোভিড-১৯এর জীবাণু। কোভিডের নতুন বংশধর XE ভেরিয়েন্ট এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষতিকারক নয়। আর সেই কারণেই অনেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে গাফিলতি শুরু করেছেন। উপসর্গ দেখতে পাওয়া গেলেও কোভিড পরীক্ষা করাতে গাফিলতি করছেন। এখন অনেক ক্ষেত্রে কোভিড উপসর্গবিহীন হয়ে গেছে। সেই কারণে নতুন করে এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারছে। তাই এখন থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি। তা যদি না হয় তাহলে করোনার জীবাণু নতুন করে বিপদ ডেকে আনতে পারে। 

জাহাঙ্গীরপুরীতে ৯টি বুলডোজার আটকে দিলেন CPM নেত্রী বৃন্দা কারাত, রুখে দিলেন অবৈধ নির্মাণ ভাঙা

মাস্ককে বিদায় জানাবেন না- কোভিড কিন্তু যায়নি, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার পরই আর্জি চিকিৎসকদের
পঞ্চায়েত ভোটের এক বছর আগেই কি 'অমিত-টনিক', মে মাসে তিন দিনের বাংলা সফর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর