সংক্ষিপ্ত
- প্রাচিন মানুষের ভিডিও মন কাড়ছে নেটিজেনদের
- মিশর থেকে উদ্ধার হয়েছে মমি
- জনসমক্ষেই খোলা হয়েছে কফিন
- ৫৯টি কফিন পাওয়া গেছে
শত শত বছর চিরঘুমে মগ্ন কোনও এক নাম না জানা মানুষের কফিন খুলে ফেলা হল। আর সেই বিলর ঘটনার সাক্ষী থাকল বহু মানুষ। কিন্তু এখানেই শেষ নয় মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক আর বিজ্ঞানীরা সেই ঘটনার একটি ভিডিও করে ছিলেন। যা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে আড়াই হাজার বছররে পুরনো একটি মমির কফিন খোলা হচ্ছে।
সাক্কারা মিশরের একটি বিশাল সমাধিক্ষেত্র। যা মেমফিসের নেক্রোপলিস নামে পরিচিত। মিশরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রক একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সাক্কারা প্রত্নাত্ত্বিক এলাকা থেকে ৫৯টি কাঠের কফিন পাওয়া গেছে। প্রতিটি কফিন খুবই ভালো আবস্থায় রয়েছে। কোনও কফিন ক্ষয়ে যেতে শুরু করেনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এখানে মিশরীয় পুরোহিত সম্প্রদায় আর সমাজের উঁচু স্তরের ব্যক্তিদের সমাধিস্থ করা হয়েছিল। শনিবারই আড়াই হাজার বছর পুরনো একটি মমির কফিন খোলা হয়েছিল। আর প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রক তার একটি ভিডিও করে। বর্তমানে সেটি ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। যা ইতমধ্যেই লাইক আর শেয়ার করেছেন কয়েক লক্ষ মানুষ।
তবে এই মমির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ইতিমধ্যেই হাসি তামাসায় মেতেছেন নেটিজেনরা। কারণ অনেকেই বলেছেন ২০২০-তে প্রাচিন মৃতদের করব খোলা ঠিক হয়নি। কারণ এমনিতেই মহামারি চলছে। তারওপর মমির অভিশাপে ফল আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। অনেকে আবার বলেছেন আর কয়েক মাস অপেক্ষা করে নতুন বছেরে এই কফিন খোলা যেতে পারত। মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সাক্কারাতে ১৩টি কফিনের সঙ্গে তিনটি কূপ আবিষ্কার করা হয়েছে। তারপর আরও ১৪টি কফিন পাওয়া গেছে। আর কফিনগুলি প্রদর্শনের জন্য গিজার নতুন গ্র্যান্ড যাদুঘরে স্থানান্তরিক করা হবে বলেও প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে।