সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি সাংহাই কো-অপারেশন ওরগানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে সমরকন্দ গিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। সেখানে নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে দেশে ফিরেছেন শি জিংপিং। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে দেখা নেই শি জিংপিং-এর অনেকেই দাবি করেছেন, কোভিড নিয়ে কঠোর নীতি নিয়েছে ছিন। দেশে জিরো কোভিড নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন তিনি
চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংকে নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। তিনি কোথায়, তাঁকে কি গৃহবন্দি করা হয়েছে? এই নিয়েই চলছে জল্পনা। অনেক নেটিজেনই দাবি করেছেন শিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে চিনা সেনাবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে। কিন্তু অনেকেই বলছেন দেশের কোভিড নীতির জন্যই তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি সাংহাই কো-অপারেশন ওরগানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে সমরকন্দ গিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। সেখানে নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে দেশে ফিরেছেন শি জিংপিং। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে দেখা নেই শি জিংপিং-এর অনেকেই দাবি করেছেন, কোভিড নিয়ে কঠোর নীতি নিয়েছে ছিন। দেশে জিরো কোভিড নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন তিনি। বিদেশ থেকে ফিরে আসা প্রত্যেকের জন্যই কোয়ারেন্টাই বাধ্যতামূলক। যার বাইরে নয় প্রেসিডেন্টও। আর সেই কারণেই তিনি গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে।
অনেক নেটিজেন আবার দাবি করছেন কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চিনে। যা নিয়ে মুখ খুলছে না প্রশাসন। সেই নেটিজেনরা নিজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন বেজিং-এর ওপর থেকে খুব কম বিমান উড়েছে। রাজধানীর সমস্ত ট্রেন ও বাস বাতিল করা হয়েছে। যদিও বেইজিং ক্যাপিটাল বিমানবন্দরের ওয়েবসাইট দেখায় যে কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, অন্য অনেকগুলি হয় নির্ধারিত ছিল বা ইতিমধ্যে অবতরণ করেছে। অনেকে আবার বিমানের ব়্যাডার মানচিত্র প্রকাশ করে বলেন তিব্বতের ওপর দিয়ে বিমান চলাচল করছে না। কিন্তু কেন এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশিত হয়েছে, লি কিয়াওমিংকে চিনের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি চিনা কমিউনিস্ট পার্টি বা চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম।
সোশ্যাল মিডিয়া অনুযায়ী সমরকন্দে সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শি জিংপিং। সেখান থেকে দেশে ফেরার পরই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। আমাদের দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, 'নতুন গুজব যাচাই করা হবে: শি জিংপিং কি বেইজিংয়ে গৃহবন্দী? সম্প্রতি যখন শি সমরকন্দে ছিলেন, তখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা শিকে পার্টির সেনাবাহিনীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এরপর গৃহবন্দি। তাই গুজব হয়।'
শুধু আমাদের দেশেই চিনের বেশ কয়েকজনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এজাতীয় বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, পিএলএ সামরিক বাহিনী বেজিং -এর দিকে যাচ্ছে। বেজিংএর কাছে হুয়ানলাই কাউন্টি থেকে শুরু করে হেবেই প্রদেশের ঝাঁজিয়াকো শহরে শেষ হবে। পুরো শোভাযাত্রা ৮০ কিলোমিটারের। কিন্তু এরই মধ্যে গুজব শি জিংপিংকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে।
শি জিংপিংকে নিয়ে গুজবের কারণঃ
চিনে চলতি সপ্তাহে দুই প্রাক্তন মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড ও চার কর্মকর্তার যাবজ্জীবন হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ৬ জন রাজনৈতিক উপদলের অংশ ছিল। বর্তমানে কমিউনিস্ট পার্টি সারা দেশে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে যে ৬ জনয় জিংপিংএর বিরোধী ছিলেন। আর সেই কারণেই জিংপিং-এর গৃহবন্দি হওয়ার খরব তারই বিরোধী লবি ছড়িয়ে দিচ্ছে।