অতল জলের গহ্বরে ১০টি রহস্য, মহাসাগরে অমীমাংসিত ঘটনা - দেখুন ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
কাজ-২ জাহাজ
২০০৭ সাল। কাজ-২ জাহাজ অস্ত্রেলিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তিন জন নাবিক ছিলেন। জাহাজ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে পুরুষ যাত্রীরা। তবে জাহাজটি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেই সময় জাহাজের মোটর চলছিল। চালু ছিল ল্যাপটপও। রহস্য এখনও অধরা।
মারিয়ান ট্রেঞ্জ
মহাসাগরের গভীরতম বিন্ধু। যা ৩৬ ২০১ ফুট গভীর অবস্থিত। এখানে ধরে যাবে আস্ত মাউন্ট এভারেস্ট। তার ওপরএ ৭ হাজার ফুট অতিরিক্ত জল জমা হয়ে থাকবে। কিন্তু এই মারিয়ান ট্রেঞ্জে কোনও অভিযানই সফল হয় না।
বাল্টিক সাগরে অসঙ্গতি
২০১১ সালে দুই গবেষক গুপ্তধনের সন্ধানে বাল্টিক সাগরের তলদেশে কিছু সোনার ছবি তুলেছিল। তদন্তে জানা গিয়েছিল সেখানে সোনার থাকা প্রায় অসম্ভব। অনেকেই দাবি করে কোনও ভিন গ্রহের যান সেখানে ডুবে গিয়েছিল। তাতেই এই অসঙ্গতি। কিন্তু সত্য এখনও সামনে আসেনি।
অস্বাভাবিক শব্দ
মাঝসমুদ্রে মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা যায়। কখনও কারও নাম ধরে ডাকা হচ্ছএ বলে মনে হয়। কখনও আবার মনে হয় কেউ আর্তনাদ করছে। সবথেকে বেশি শোনা যায় 'দ্যা ব্লুপ' 'জুলিয়া' এই শব্দ দুটি। কিন্তু কিসের শব্দ? পরিষ্কার নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। অনেকেই মনে করেন আইসবার্গে ধাক্কা লাগার শব্দ।
বারমেজার ভূতুড়ে দ্বীপ
বারমেজা নামে একটি দ্বীপ ১৬ শতক থেকে বর্তমান পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মানচিত্র এবং চার্টে পাওয়া গেছে, তবে, সাম্প্রতিক জরিপকারীরা যখন ২০০৯ সালে এলাকাটি অন্বেষণ করতে বেরিয়েছিলেন, তখন দ্বীপটি রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাটিকে "ফ্যান্টম দ্বীপপুঞ্জ" বলা হয়। তবে এখনও এই দ্বীপটির কোনও সন্ধান নেই।
আসল আটলান্টিস
সমুদ্রের তলায় আস্ত শহরের ধ্বংসস্তূপ। কিন্তু কোথা থেকে এল তার কোনও প্রমাণ নেই। তবে দার্শনিক সেবাস্তিয়ান বলেছিলেন, মানুষের বিশ্ব একটি জগাখিচুড়ি। তাহলে জলের তলায় কেন জীবন থাকবে না। যদিও বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডুব শহরটি গ্রিসের ডেলোস দ্বীপের কাছেই অবস্থিত- এটি পরিকল্পিত শহরই। তৈরি হয়েছিল জলের তলায়।
১৯৬৮ সালে সাবমেরিন নিখোঁজ
একই বছর পরপর চারটি সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছিল। এগুলি হল USS Scorpion, সোভিয়েত সাবমেরিন K-129,ফরাসি সাবমেরিন Minerve এবং INS ডাকার। চারটি দৈত্যাকার সাবমেরিন পুরোপুরি লোপাট। কোনও যন্ত্রাংশ পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। বন্দর থেকে ছাড়ার মাত্র ২ ঘণ্টা পরে উধাও হয়। কিন্ত কেন- এই প্রশ্নের উত্তর আজও নেই চারটি দেশের কাছে।
বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গেল
বিশ্বের চর্চিত অমীমাংসিত সামুদ্রের রহস্যগুলির মধ্যে একটি হল বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গের রহস্য। প্রায় ৫ লক্ষ বর্গ মাইল সমুদ্রের ত্রিভূজাকার অকৃতির জন্য এই নামকরণ হয়েছে। এখান থেকে উধাও হয়ে গেছে জাহাজ। এমনই বিমানও লোপাট হয়েছে। কিন্তু কেন এমন হয় তার কোনও উত্তর নেই বিজ্ঞানী বা গবেষকদের কাছে। সমুদ্রের তলায়ও অভিযান চালান হয়েছিল। কোনওটাই সফল হয়নি।
শয়তানের সাগর
এটি এমন একটি জায়গা যেখানে পাখির মতো আকাশ থেকে প্লেন নেমে আসে এবং বড় মিথেন জমা গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটায়। এটিও যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ২০টিরও বেশি সাবমেরিন হারিয়েছিল এবং টাইটানিকের চেয়ে দ্বিগুণ বড় জাহাজ নিখোঁজ হয়েছিল। বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গেলের যে ১২টি ঘূর্ণি রয়েছে তারমধ্য এটি একটি। এখান দিয়ে বর্তমানে কোনও জাহাজ যায় না। নৌকাও চলে না।
এইচএমএস ডেডালাসের সমুদ্র সর্প
বিশ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে রয়্যাল নেভির যুদ্ধ জাহাজ এইচএমএস ডেডালাস এর ক্রুরা দেখেছিল একটি বিশালাকার সাপ। প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের। মাথাটা অনেকটা ড্রাগনের মত। দ্বিতীয়বার আমেরিকার ব্রিগেডিয়ার ড্যাফনি তেমনই একটি বিশাল সাপ দেখে ছিল। কিন্তু তারপর আর কেউ দেখিনি। উদ্ঘাটন হয়নি রহস্যেরও