সংক্ষিপ্ত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের সবথেকে বড় শহর হেরাত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
শনিবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩ ম্যাগনিচিউড। ভূমিকম্পের জেরে এখনও পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা এক হাজার। আহতের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। হেরাত প্রদেশ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিকম্পের জেরে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের সবথেকে বড় শহর হেরাত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। প্রথমে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬ । তারপরই কম্পন হয় ৬.৩ মাত্রার।পরপর সাতবার আফটারশক হয়েছিল। যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি হয়েছে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টা নাগাদ ভূমিকম্প হয়। তিন ঘণ্টার মধ্যে পরপর দুইবার কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা।
হেরাতের এক বাসিন্দা জানিয়েছিলেন, তিনি অফিসে ছিলেন। সেইসময় কম্পনের কারণে গোটা অফিসবাড়ি কেঁপে ওঠে। কম্পনের মাত্রা এত বেশি ছিল যে দেওয়ালের প্ল্যাস্টর খসে পড়েছিল। বেশ কিছু বাড়ির দেওয়াল ভেঙে যায়। আফগান প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। তবে ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে প্রশাসনের। তালিবান প্রশাসন অনেকটাই উদাসীন বলেও মনে করছে স্থানীয়রা।
হেরাট প্রদেশ ইরান সীমান্ত থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এটি একটা সময় আফগানিস্তানের সাস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচিত হত। ২০১৯ সালের বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী আফগানিস্তানের লোকসভা ছিল ১.৯ মিলিয়ন। আফগানিস্তান ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত। হিন্দুকুশ পর্বত শ্রেণীতে সবথেকে বেশি ভূমিকম্প হয়। এটি ইউরেশিয়ান এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত। গত বছর জুন মাসে ভূমকম্পে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। সেই সময় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।