সংক্ষিপ্ত

সিরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বশর আল-আসাদ রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। খবর রটেছে, তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য রাশিয়াকে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। একজন প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এই তথ্য দাবি করেছেন।

সিরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বাসার আল-আসাদকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শরণার্থী বলা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, তিনি রাশিয়াকে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার দিয়েছেন, তারপরই তাকে নিরাপদে মস্কোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সিরিয়ার একজন প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য সামনে এসেছে। তিনি বলেছেন, আসাদ রাশিয়াকে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার (১১৪৫ কোটি টাকারও বেশি) স্থানান্তর করেছিলেন। এরপর তাকে নিরাপদে মস্কোতে নিয়ে যাওয়া হয়।

তুরস্কের সংবাদপত্র তুর্কি গেজেটেসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা খালিদ বে জানিয়েছেন, আসাদ সিরিয়া থেকে অর্থ "পাচার" করেছেন। যদিও খালিদ এত বড় অঙ্কের অর্থ কীভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। তুর্কি গেজেটেসি আসাদকে 'বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শরণার্থী' বলে অভিহিত করেছে। রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আসাদকে "সবচেয়ে নিরাপদ উপায়ে" মস্কোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি নিরাপদে আছেন।

রহস্যজনকভাবে সিরিয়া থেকে পালিয়েছিলেন আসাদ

উল্লেখ্য, সিরিয়ার ক্ষমতায় বিদ্রোহীদের দখলের পর আসাদকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত রহস্যজনকভাবে সিরিয়া থেকে পালিয়েছিলেন। ৮ ডিসেম্বর সকালে খবর আসে, আসাদের বিমান রাজধানী দামেস্ক থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়ে গেছে, কিন্তু হঠাৎ করেই তার গতিপথ পরিবর্তন করে। কিছুক্ষণ পর রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার পর জল্পনা-কল্পনার ঝড় ওঠে। পরে রাশিয়া জানায়, আসাদ তার পরিবারসহ মস্কোতে আছেন। তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

বাসার আল-আসাদ এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ছিল। রাশিয়া আসাদের সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল। রাশিয়ার ভারী বোমা হামলার ফলে আসাদের সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধা পেয়েছিল। এ কারণেই যখন আসাদকে সিরিয়া ছাড়তে হয়েছিল, তখন তিনি রাশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।