সংক্ষিপ্ত
ভারতের থেকে পরমাণু অস্ত্রের দিকে চিনের কাছে তিনগুণ বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এসআইপিআরআই-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
China stocks Nuclear Weapons: চিন ক্রমাগত তার সামরিক শক্তি ও পারমাণবিক অস্ত্র বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। এই কারণেই আজ চিন পরমাণু অস্ত্রের ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চিনের পরমাণু অস্ত্রের সম্প্রসারণ নিয়ে চিন্তিত রাশিয়া ও আমেরিকাও। অনেকেই মনে করছেন, এভাবেই চলতে থাকলে আগামী ৫ বছরে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে চিন আমেরিকা ও রাশিয়ার সমান হবে। যেখানে ভারতের থেকে পরমাণু অস্ত্রের দিকে চিনের কাছে তিনগুণ বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এসআইপিআরআই-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এক বছরে চিনের পারমাণবিক অস্ত্র বেড়েছে ৯০টি-
এসআইপিআরআই রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন দ্রুত তার পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে। চিনের পরমাণু অস্ত্রের মজুদ নিয়ে কথা বললে, চিন মাত্র এক বছরে তার পারমাণবিক অস্ত্র ৯০ টি বাড়িয়েছে। গত বছরের তুলনায় চিনের পারমাণবিক অস্ত্র ৪১০ থেকে ৫০০ হয়েছে। বিশ্বে মোতায়েন প্রায় ২,১০০ টি পারমাণবিক অস্ত্র 'হাই অপারেশনাল অ্যালার্ট'-এ রয়েছে এবং তাদের বেশিরভাগই রাশিয়া ও আমেরিকার কাছে রয়েছে। তবে বলা হচ্ছে, চিন সতর্ক অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর কিছু অস্ত্রও রেখেছে। এক বছরে ৯০টি নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে চিন।
পরমাণু অস্ত্রের দিক থেকে ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে চিন-
পরমাণু অস্ত্রের দিক থেকে ভারত এখনও চিনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। চিন বর্তমানে পরমাণু অস্ত্রের দিক থেকে ভারতের চেয়ে তিনগুণ এগিয়ে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্রের কথা বললে বর্তমানে এর সংখ্যা ১৭২। বিশেষ বিষয় হল প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও পরমাণু অস্ত্রের ক্ষেত্রে ভারতের থেকে পিছিয়ে নেই। পাকিস্তানের ১৭০ টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ভারত 8টি নতুন পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছে। পাকিস্তান এক বছরে একটিও পারমাণবিক বোমা তৈরি করেনি।
বর্তমানে চিনের ক্রমাগত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গতি দেখে চিন্তিত রাশিয়া ও আমেরিকাও। যদিও আমেরিকা ও রাশিয়ার পারমাণবিক ও সামরিক শক্তির সামনে চিন এখনও কোথাও নেই, তবুও SIPRI রিপোর্টের পর অনেক দেশই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে সিরিয়াস হয়ে উঠেছে।