সংক্ষিপ্ত

মালদ্বীপের আগে পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার মতো দেশও চিনের নির্দেশ অনুসরণ করে। চিনের আশঙ্কা যে ভারতের বৈশ্বিক প্রভাব তার থেকে অনেক বেশি হবে, এমন পরিস্থিতিতে চিন ভারতের সাথে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক নষ্ট করতে চায়

ভারতের সঙ্গে বিবাদের মধ্যেই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে চিনে পৌঁছেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। মুইজু স্বভাবগত ভাবেই চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত। তাকে সবসময় ভারতবিরোধী বলে মনে করা হয়। নির্বাচনী প্রচারের সময় মুইজ্জু 'ইন্ডিয়া আউট' স্লোগান দিয়েছিলেন। মুইজু চিনের প্ররোচনায় এসব করেছে, তাই তাকে চীনের পুতুলও বলা হচ্ছে। তবে, মালদ্বীপ প্রথম মুসলিম দেশ নয়, যারা চিনের নির্দেশ অনুসরণ করছে। মুসলমানদের সাথে খারাপ আচরণকারী চিন অনেক মুসলিম দেশকে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কাচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

মালদ্বীপের আগে পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার মতো দেশও চিনের নির্দেশ অনুসরণ করে। চিনের আশঙ্কা যে ভারতের বৈশ্বিক প্রভাব তার থেকে অনেক বেশি হবে, এমন পরিস্থিতিতে চিন ভারতের সাথে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় এবং নিজেও মুসলমানদের শুভাকাঙ্খী হতে চায়। কিন্তু চিনে মুসলমানদের সাথে কেমন আচরণ করা হয় তা সারা বিশ্ব জানে।

চিনে উইঘুর মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার হয়

চীনে উইঘুর মুসলিমরা কতটা নির্যাতনের শিকার হয় তা জানিয়েছে জাতিসংঘ তাদের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকারের 'গুরুতর লঙ্ঘন' হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে চীন প্রায়ই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘের 2023 সালের জুলাইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমরা খারাপভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। সেখানে উইঘুর মুসলমানদের নির্বিচারে আটক করে জোরপূর্বক শ্রম করানো হয়।

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে মালয়েশিয়া

২০১৯ সালে, মালয়েশিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘে বলে যে ভারত জোর করে কাশ্মীর দখল করেছে। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। এরপর মালয়েশিয়ার প্রতিক্রিয়ার পর ভারত অনেক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল, যার জেরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে নানা সমস্যা শুরু হয়।

পাকিস্তানকে উৎসাহিত করছে চিন

গোটা বিশ্ব জানে, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যেকোনো কর্মকাণ্ডে চিনের হাত রয়েছে। পাকিস্তানে ড্রাগনের অনেক প্রকল্প চলছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তান গভীরভাবে ঋণে জর্জরিত যার কারণে পাকিস্তান চিনের নির্দেশ অনুসরণ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের নামে চিন পাকিস্তানের ওপর ৬২ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা চাপিয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।