সংক্ষিপ্ত
চিনের গবেষণাকেন্দ্রিক জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫, সোমবার পুনরায় প্রবেশ করল ভারত মহাসাগরে।আবার কেন ঘটলো তাদের প্রবেশ ? বিশ্লেষনে বিশেষজ্ঞমহল।
ভারত মহাসাগরে চিনা জাহাজের ঘোরাঘুরি মোটেও ভালো নজরে দেখছেন না ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চীনের গবেষণাকেন্দ্রিক জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫, সোমবার পুনরায় প্রবেশ করল ভারত মহাসাগরে। এর আগেও আন্দামান নিকোবর অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় যখন বঙ্গোপসাগরে চিনা জাহাজের ঘোরাঘুরি নজরে আসে ভারতীয় নৌসেনার ।তখন থেকেই সর্তক হয়ে যান তারা।মূলত ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি দূর থেকে পরিমাপ করতেই যে চিনাদের এমন আগমন সেটা বুঝতে পেরেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সাময়িকভাবে হ্রদ করে ভারতীয় নৌ বাহিনীর অফিসাররা । কিন্তু তারপর আবার কেন ঘটলো তাদের প্রবেশ ? বিশ্লেষনে বিশেষজ্ঞমহল।
সূত্রের দাবি ভারতবর্ষের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের সমুদ্র সীমানায় জারি করেছে 'নোটাম' . ফলে সেই অঞ্চল দিয়ে যাতায়াত এখন নিষিদ্ধ। তাই পথ পরিবর্তন করে ভারত মহাসাগরকেই নিজেদের যাতায়াতের পথ হিসেবে বেছে নিলো চিন। ইউয়ান ওয়াং-শ্রেণির জাহাজগুলি মূলত চিনা পিএলএ এর স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স দ্বারা পরিচালিত। তাই ঠিক কি উদ্দেশ্যে এই সমুদ্র টহল তা বুঝতে পারছেন না নৌবাহিনীর কমান্ডাররা। কিন্তু ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল হরি কুমার ওই জাহাজের গতিবিধির পর্যবেক্ষণ করে জানান যে হয়তো ব্যবসায়িক তাগিদেই এই টহল। কিন্তু যেহেতু এই ধরণের চিনা জাহাজগুলো গবেষণার কাজে , মাছ ধরার কাজে, সমুদ্র শক্তি পরিমাপ করার কাজে এবং স্যাটেলাইট ট্র্যাক করার কাজে ব্যবহার করা হয় তাই এই টহলের নেপথ্যে যে কোনো বড়ো উদ্দেশ্য আছে সেকথাও উপেক্ষা করতে পারছে না আমাদের নৌ মন্ত্রক।
চিনা জাহাজের এই টহলদারি রুখতেই গত ৭ ই নভেম্বর থেকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রিক 'নোটাম' জারি জারি করেছিল বঙ্গোপসাগরে। এমনকি ওই বিশেষ অঞ্চলকে নো ফ্লাই জোনও করে দিয়েছিলো বেশ কিছু দিনের জন্য। ২৩- ২৪ সে নভেম্বর ফের সেখানে জারি হয় 'নোটাম' .তবে জাহাজটি যেহেতু উপগ্রহ এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ট্র্যাকও করতে পারে তাই ওটার উপর এখন কড়া নজরদারি চালাচ্ছে নৌ সেনা।