সংক্ষিপ্ত

বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি মোট ১৬টি প্রোডাক্টেই সীসা, ক্যাডমিয়াম বা উভয়েই ক্ষতিকারক মাত্রায় রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

চকলেটেই কি লুকিয়ে আছে বড় বিপদ? ইউএস ভিত্তিক একটি সংস্থার রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত একটি কনজিউমার রিপোর্টস বলছে সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে চকলেট পণ্যগুলির এক তৃতীয়াংশে সীসা এবং ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ থাকছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই চকলেট খাওয়া ঠিক কতটা নিরাপদ সে বিষয় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।। বিশেষত যেহেতু চকলেট বাচ্চাদের পছন্দের একটি খাওয়ার। ওই বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে সাতটি বিভাগে ৪৮টি পণ্য পরীক্ষা করেছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে ডার্ক চকলেট বার, মিল্ক চকলেট বার, কোকো পাউডার, চকলেট চিপস, এবং ব্রাউনিজ, চকলেট কেক এবং হট চকলেটের মিক্সও। বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি মোট ১৬টি প্রোডাক্টেই সীসা, ক্যাডমিয়াম বা উভয়েই ক্ষতিকারক মাত্রায় রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে প্রোডাক্টগুলিতে ক্ষতিকারক ধাতব সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে নাম রয়েছে ওয়ালমার্টের ডার্ক চকলেট বার এবং হট চকলেটের মিশ্রণ, হার্শে এবং ড্রস্টের কোকো পাউডার, টার্গেটের আধা-মিষ্টি চকোলেট চিপস এবং ট্রেডার জোস, নেসলে এবং স্টারবাকসের হট চকোলেট মিশ্রণের। তবে শুধুমাত্র মিল্ক চকলেট বার বা যেখানে কম কোকো রয়েছে, তাতে অত্যধিক ধাতব উপাদানের সন্ধান মেলেনি।

শরীরের উপর কী কী ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে?

ভারী ধাতু শরীরে দীর্ঘদিন ধরে ঢুকলে স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী মহিলা এবং ছোট শিশুদের জন্য এই অতিরিক্ত ধাতব উপাদান আরও বেশি ক্ষতিকারক।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে, ইউএস-ভিত্তিক একটি সংস্থা ২৮টি চকলেটের উপর পরীক্ষা করে। এর মধ্যে ২৩টিতেই অতিরিক্ত সীসা বা ক্যাডমিয়াম সনাক্ত করা হয়।