সংক্ষিপ্ত

জাপানে ভূমিকম্পস। উত্তরাঞ্চলের দ্বীপ হেক্কাইডোতে ৬.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।

 

কেঁপে উঠল জাপান। তুরস্কের পর এবার জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোরে ভূমিকম্প। মার্কিন জিওলগিক্যাল সার্ভের মতে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.১ ম্যাগনিচিউড। ন্যাশানাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্স অনুসারে ভূমিকম্পটি ৬১ কিলোমিটার গভীরে নেমুরো উপদ্বীপে আঘাত করে। তবে এখনও পর্যন্ত সুনামির সতর্কতা জারি করেনি জাপান প্রশাসন। ভূমকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এখনও স্পষ্ট করেনি।

জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপগুলির মধ্যে অন্যতম হল হোক্কাইডো। দিন কয়েক আগেই সেখানে ভূমিকম্প হয়েছিল। গত সোমবারের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে চলতি মাসেই প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক। কম্পনের কারণ তুরস্ক আর সিরিয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। দুটি দেশেই মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার পার করেছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তবে জীবিত মানুষের সন্ধান আর পাওয়া যাবে না বলেও নিশ্চিত উদ্ধারকারী দল। 

সময় যত যাচ্ছে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ততই প্রকট হচ্ছে তুরস্ক আর সিরিয়ায়। প্রাকৃতিক বিপর্যেয়ের চার দিন পরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগন জানিয়েছেন দুটি দেশে ভূমকম্পে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি তিনি নিজের সরকারের প্রক্রিয়া যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নয় তাও স্বীকার করে নিয়েছে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে এখনও প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছে। কিন্তু উদ্ধার আর ত্রাণকার্যে বাধা দিচ্ছে আবাহাওয়া। প্রবল ঠান্ডা আর তার সঙ্গে বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়েছে উদ্ধারকারীরা।

 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন মাার্কিনম যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইজরায়েল-সহ বিশ্বের ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থা তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তুরস্কের পাশে রয়েছে ভারত। আপারেশন দোস্ত নামে প্রকল্পের মাধ্যমে তুরস্ক ও সিরিয়ার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কাজস্থানের মত দেশই তুরস্কে উদ্ধারকাজের জন্য সহযোগিতা করছে।

অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তুরস্কের মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার ত্রাণ পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরেই উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার লক্ষাধিক মানুষের কাছে ত্রাণ ও সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে বলাও জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, কয়েক বছর ধরে তুরস্কের একটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সিয়ারার বিদ্রোহী এলাকার নির্যাতিত মানুষরা দেশ ছাড়ছিলেন। তারা তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করছিলেন। এই মানুষের সংখ্যাটা প্রায় ৪ মিলিয়ন। এই এলাকায় সহযোহগিতাক পাঠানোর কাজে বিশেষ জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ।