সংক্ষিপ্ত
হ্যালোইন পার্টি পরিণত হল মৃত্যুপুরীতে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে হ্যালোইন পার্টি শুরু হয়েছিল। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ভিড় হয়। তাতেই হুড়োহুড়িতো ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
হ্যালোইন উৎসবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে। একটি বাজারে প্রবল ভিড়ের কারণে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২০ জনের। এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা শতাধিক। পুলিশ জানিয়েছে প্রবল ভিড় হয়েছিল। তারমধ্যে হুড়োহুড়ির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সিওল প্রশাসন জানিয়েছে, বাজাটি অত্যান্ত ঘিঞ্জি। রাস্তাগুলিও সরু। প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিল। ভিড়ের কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেইসময় অনেকেরই আতঙ্ক হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থলে দ্রুত দমকল কর্মীরা পৌঁছে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী শনিবার রাতে মেগাসিটির কেন্দ্রীয় জেলা ইটাওনে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছিল। সেখানেই চলছিল পার্টি। তাইতেই এই দুর্ঘটনা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কোভিড বিধিনিষেধ ছিল খুবই কড়া। গত দুই বছর কোনও উৎসবই পালন করা হয়নি। চলতি বছর কোভিড বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল। হ্যালোইনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
দ্যা কোরিয়া হেরাল্ডের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী একটি হোটেলের সামনে পার্টি হচ্ছিল। প্রবল ভিড় ছিল। রাত সাড়ে ১১টার সময় বেশ কয়েকজনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রায় ৮১ জনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তারপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী স্থানীয় কর্মকর্তাদের কথায় মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই একের পর এক মানুষের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ১২০। আহতের মধ্যে তরুণ - তরুণীর সংখ্যাই বেশি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪০টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স পাঠান হয়। তবে মৃত্যু বন্ধ করা যায়নি। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তাও স্পষ্ট নয় প্রশাসনের কাছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আহতের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধিকাংশেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে। তবে হুড়োহুড়ির কারণে বেশ কয়েকজন পড়ে গিয়েও চোট পেয়ছে। এই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।