সংক্ষিপ্ত

বিচার, শ্রম, শিক্ষা, শিল্প, বিজ্ঞানও প্রযুক্ত, স্বাস্থ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে হরিণী অমরাসুরিয়ার ওপর।

 

মহিলা প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই বদলাতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্র। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হরিণী অমরাসুরিয়া। মঙ্গলবার ছিল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ২০০০ সালে সিরিমাভো বন্দরনায়েকের পর প্রথম ছিলেন প্রথম মহিলা নেতা। ৫৪ বছর বয়সী হরিনী ন্য়াশানাল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা তথা রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা দিশানায়েকের কাছে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁর মন্ত্রিসভায় এখনও পর্যন্ত মাত্র চার জন সদস্য রয়েছে।

বিচার, শ্রম, শিক্ষা, শিল্প, বিজ্ঞানও প্রযুক্ত, স্বাস্থ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে হরিণী অমরাসুরিয়ার ওপর। হরিনী প্রধানমন্ত্রী দিনেশ গুনাবর্র্দেনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন, যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

হরিণী অনরাসুরিয়ে অধিকার কর্মী হিসেবেই অধিক পরিচিত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকও। তিনি শ্রীলঙ্কার তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। এনপিপি পার্টির সাংসদ বিজিতা হেরাথ ও লক্ষ্ণণ নিপুনারাচ্চি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছে। তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আসন্ন সংসদ দ্রুত ভেঙে দেওয়া হবে। সংসদ নির্বাচন দ্রুত হবে বলেও জানিয়েছে। নির্বাচন নভেম্বর মাসের শেষে হতে পারে বলেও শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকা ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বাম জোট পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট তথা জেভিপি নেতা দিশানায়েক। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ ৪২.৩১। অন্যদিকে, লঙ্কার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে পেয়েছেন মাত্র ১৭.২৭ শতাংশ ভোট। ভোট শতাংশের নিরিখে তিনি রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। অপরদিকে শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা ৩২.৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।