সংক্ষিপ্ত
ভারতও ইউএনজিএ-র প্রস্তাবিত খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এদিকে, এদিন রাষ্ট্রসংঘে প্যালেস্তাইনের পক্ষে ভারতের ভোট দেওয়া নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয় কূটনৈতিক মহলে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্যপদ নিয়ে সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে প্যালেস্তাইন। ভারতও ইউএনজিএ-র প্রস্তাবিত খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এদিকে, এদিন রাষ্ট্রসংঘে প্যালেস্তাইনের পক্ষে ভারতের ভোট দেওয়া নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয় কূটনৈতিক মহলে। আরব দেশগুলো বাদ দিলে ভারতই একমাত্র দেশ, যারা প্রথম প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে সেখানকার একমাত্র প্রতিনিধি এবং ভূখণ্ডের অধিকারী বলে মর্যাদা দেয়। পরবর্তীতে প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতই। সেই কারণে ১৯৮৮ সালে গাজায় কূটনৈতিক কার্যালয়ও চালু হয়। ২০০৩ সাল নাগাদ তা স্থানান্তরিত হয় রামাল্লায়। চলতি মাসের গোড়াতেই রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ প্যালেস্তাইনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।
এই খসড়াটি প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রসঙ্ঘে সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্যতা নির্দেশ করে এবং এটিকে পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি অংশ করা উচিত বলে দাবি করে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। এর আগেও ইউএনএসসিতে একই ধরনের খসড়া ভেটো দিয়েছিল আমেরিকা। এবার, বেশিরভাগ দেশ প্রস্তাবের বিষয়ে প্যালেস্তাইনকে সমর্থন করলেও আমেরিকা ও ইজরায়েল এই প্রস্তাবিত খসড়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে মোট ১৯৩ জন সদস্য রয়েছে। বিশেষ জরুরী অধিবেশন সভার জন্য সবাইকে অবহিত করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, প্যালেস্তাইনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে আরব দেশগুলির একটি দল রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই প্ল্যাটফর্মে একটি প্রস্তাব এনেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাত এই বছরের মে মাস থেকে এই গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে আসছে, এটিই রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই খসড়াটি উপস্থাপন করেছিল। ভারতসহ মোট ১৪৩টি দেশ এই খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। একই সময়ে এই খসড়ার বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৯টি। একই সময়ে, ২৫টি দেশ এই ভোট থেকে নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু অধিকাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায়। যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, “আজকের এই দিনটা অন্যতম কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। আজকে রাষ্ট্রসংঘে যে অনৈতিক কাজ হল আমি চাই গোটা বিশ্ব তা মনে রাখুক। আমি একটা আয়না দেখাতে চাই আপনাদের। রাষ্ট্রসঙ্ঘে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কত কথা বলা হয়। কত যুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু আজকে সব মিথ্যা হয়ে গেল। এমন একটা দেশকে সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানানো হল যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ তা আপনারাই আজকে ছিঁড়ে ফেললেন। আমি তারই প্রতিচ্ছবি দেখাচ্ছি আপনাদের।” এই বলেই এরদান গোটা সনদ ছিঁড়ে ফেলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।