সংক্ষিপ্ত
কোনও দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু হলে সাধারণত শোকের আবহ দেখা যায়। কিন্তু ইরানে শোকের পাশাপাশি উল্লাসের ছবিও দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে খুশি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মহিলা ও উদারপন্থীরা। ইরানের পাশাপাশি অন্য দেশগুলিতেও শুরু হয়েছে উৎসব। ইরানের বিভিন্ন জায়গায় আতসবাজি পুড়িয়ে উৎসব পালন করা হচ্ছে। লন্ডনের রাস্তাতেও ইরানিদের আনন্দে নাচতে দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই হাসিঠাট্টা করছেন, মিম শেয়ার করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইরানের সাংবাদিক মাসিহ আলিনেজাদ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, ইতিহাসে এটাই একমাত্র হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা, যেখানে কেউ বেঁচে গিয়েছে কি না, সেটা নিয়েই সবাই উদ্বিগ্ন ছিল। বিশ্ব হেলিকপ্টার দিবসের শুভেচ্ছা।’
ইরানে মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন রাইসি
ইরানে কট্টরপন্থী নেতা ছিলেন রাইসি। তাঁর শাসনকালে মহিলা ও উদারন্থীদের দুর্দশা চরমে পৌঁছয়। যাঁরা সরকার-বিরোধী এবং বাক-স্বাধীনতার পক্ষে, তাঁদের উপর অত্যাচারের পথ নেন রাইসি। মহিলাদের হিজাব ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনোর অনুমতি ছিল না। কোনও মহিলা এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে অত্যাচার করা হত। ২০২২ সালে আটক হওয়ার পর নীতি পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনা সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। উদারপন্থী ও নারীবাদীরা এই ঘটনার নিন্দা করেন। ইরানেও শুরু হয় প্রতিবাদ। আন্দোলন দমন করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেন রাইসি। এই কারণেই তাঁর মৃত্যুতে অনেকেই খুশি হয়েছেন।
'তেহরানের কসাই' রাইসি
২০২১ সালের অগাস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট হন রাইসি। ১৯৭৯ সালে ছাত্রাবস্থায় ইরানের তৎকালীন উদারপন্থী নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হন রাইসি। সেই সময় থেকেই তিনি কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিরোধীদের উপর অত্যাচার চরমে নিয়ে যান রাইসি। এই কারণেই তাঁর মৃত্যুতে ইরানের উদারপন্থীরা স্বস্তি পেলেন। তাঁদের আশা, এবার হয়তো পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Viral Video: কপ্টারে জানলার ধারে বসে ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেখুন জীবিত অবস্থায় তাঁর শেষ ভিডিও
কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট, কে বসতে চলেছেন সেই কুর্সিতে? জানা গেল নাম