সংক্ষিপ্ত

গোপন পদ্ধতিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পরিষদের ৬০ জন সদস্যকে ডেকে সুপ্রিম লিডার নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এতে সর্বসম্মতিক্রমে মুজতবাকে নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার ছেলে মুজতবা খামেনিকে তার উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিয়েছেন। খামেনি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, তিনি খুবই অসুস্থ এবং কোমায় চলে গেছেন। তার অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় মুজতবাকে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করা হয়েছে। বাবার মতো মুজতবাও ইজরায়েল ও আমেরিকাকে তার কট্টর শত্রু মনে করেন। এছাড়াও, তিনি প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতার সমর্থক এবং ইরানে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত।

মুজতবার নেটওয়ার্ক ইরান থেকে গাজা পর্যন্ত বিস্তৃত

গোপন পদ্ধতিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন মুজতবা। জাতীয় পরিষদের ৬০ জন সদস্যকে ডেকে সুপ্রিম লিডার নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এতে সর্বসম্মতিক্রমে মুজতবাকে নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। মুজতবা খামেনির দ্বিতীয় পুত্র এবং কয়েক বছর ধরে তার বাবার সাথে কাজ করছেন।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মুজতবা ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মী পর্যন্ত নিজের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, গাজা ও প্যালেস্তাইনের জনগণের মধ্যেও তার নিজস্ব শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে খামেনির স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তার নেতা নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। ইরানের বিদেশনীতিতেও তার গভীর প্রভাব রয়েছে। 

মুজতবা তার বাবার চেয়েও বেশি ধর্মান্ধ

মুজতবা খামেনেই দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিয়া প্রক্সি সংগঠনগুলোর বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ নেতা নাসরাল্লাহর মৃত্যুর কয়েক বছর পর খামেনি জুমার নামাজের আয়োজন করেছিলেন। এরপর থেকেই মুজতবাকে তার উত্তরসূরি নির্বাচিত করার কথা ছিল। ৫৫ বছর বয়সী মুজতবা তার বাবার চেয়েও বেশি ধর্মান্ধ। তিনি সংস্কারবাদী আন্দোলনকে নির্মমভাবে মোকাবিলা করার জন্য পরিচিত। এছাড়াও, তার সম্পর্কে বলা হয় যে তিনি লাইমলাইট থেকে দূরে থাকেন এবং অত্যন্ত নীরব এবং ধূর্তভাবে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পারদর্শী।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।