সংক্ষিপ্ত
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে, ইরানের সমস্ত মহিলাকে তাঁদের ঘাড় এবং মাথা ঢেকে রাখতে আইন দ্বারা বাধ্য করা হয়েছে।
মাহশা আমিনির মৃত্যুর পরেও বদলায়নি আয়াতুল্লা আলি খামেইনির দেশ। ফের হিজাব না পরার কারণে এক তরুণীকে ‘শাস্তি’ হিসেবে ৭৪ বেত মারা হল প্রকাশ্য রাস্তায়। ‘নৈতিকতা লঙ্ঘন’ করার দায়ে তাঁকে ওই শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইরানের বিচার বিভাগের। এই নৃশংস বেত্রাঘাতের ঘটনায় নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ইরানে।
বিচার বিভাগের নিয়ম অনুসারে ইরানের কর্মকর্তারা রোয়া হেশমাতি নামের ওই মহিলাকে 'জনসাধারণের নৈতিকতা লঙ্ঘনের" জন্য ৭৪ বার বেত্রাঘাত করেছেন এবং নিজের মাথা না ঢেকে রাস্তায় বেরোনোর জন্য জরিমানা করেছেন।
-
শনিবার ইরানের বিচার বিভাগের মিজান ওয়েবসাইটে বলেছেন, “শাস্তিপ্রাপ্ত, রোয়া হেশমতি, তেহরানের ব্যস্ত জনবহুল জায়গায় অসম্মানজনকভাবে আবির্ভূত হয়েছিল। … জনসাধারণের নৈতিকতা লঙ্ঘনের জন্য শরিয়া আইন দ্বারা তাকে ৭৪ বার বেত মারার শাস্তি আইন দেওয়া হয়েছে।”
-
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে, ইরানের সমস্ত মহিলাকে নিজেদের ঘাড় এবং মাথা ঢেকে রাখতে আইন দ্বারা বাধ্য করা হয়েছে।
-
পোশাক কোড লঙ্ঘনের জন্য বেত্রাঘাত করাটা ইরান প্রশাসনের নিয়ম ছিল না। তবে ২০২২ সালে মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর দেশ জুড়ে হিজাব বিরোধিতার যে প্রতিবাদী ঝড় ওঠে এবং সরকারবিরোধী সমাবেশ জনপ্রিয় হয়, তার পর থেকে রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা ক্রমবর্ধমানভাবে বিধান অমান্যকারী জনগণের ওপর কঠোর শাস্তি আরোপ করে চলেছে।