সংক্ষিপ্ত

ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন বন্দী মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে হামাসের হাতে ৩৩ জন বন্দী মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে (Israel Hamas war) যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার এটি মাসের মধ্যে প্রথম ইতিবাচক ইঙ্গিত। কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাত বন্ধ করার জন্য শীঘ্রই একটি চুক্তি ঘোষণা করা হতে পারে। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি হলে প্যালেস্তাইন অঞ্চলে আরও সাহায্য পাঠানো সম্ভব হবে। এটি বর্তমানে ইজরায়েলি সেনাদের দ্বারা অবরুদ্ধ।

হামাস ২৫১ জনকে বন্দী করেছিল

৭ অক্টোবর ২০২৩-এ ইজরায়েলের উপর হামলার পর হামাস ২০০ জনেরও বেশি লোককে বন্দী করেছিল। এদের মধ্যে কয়েক ডজন এখনও হামাসের বন্দীদশায় রয়েছে। ইজরায়েলি সরকারের মতে, হামাস এবং তার সহযোগীদের কাছে এখনও ইজরায়েল থেকে বন্দী করা ২৫১ জনের মধ্যে ৯৪ জন রয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৩৪ জন মারা গেছে।

ইজরায়েলের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমাদের বিশ্বাস, চুক্তির প্রথম পর্যায়ে মুক্তি পাওয়া ৩৩ জন বন্দীর বেশিরভাগই জীবিত থাকবে। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত বন্দীদের মরদেহও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম পর্যায় ৪২ দিনের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময় হবে। উভয় পক্ষই চুক্তির কगারে রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা এই চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। তিনি বলেছেন, “আমরা যে চুক্তি করেছি তাতে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধ বন্ধ হবে। ইজরায়েলকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। হামাস কর্তৃক শুরু করা এই যুদ্ধে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্যালেস্তাইনদের মানবিক সাহায্য দেওয়া হবে। তারা নরকযন্ত্রণা ভোগ করেছে।”