শোতে বাচ্চাটিকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার কয়েকটির উত্তর দেওয়ার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। কি কি প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে? মূলত বাবা মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন, কীভাবে সে বাড়িতে সময় কাটায়, এসব প্রশ্ন সঞ্চালক করেছিলেন তাকে।

২১শে নভেম্বর, ২০২৩-এ, দক্ষিণ কোরিয়ার রিয়েলিটি শো মাই গোল্ডেন কিডস-এর একটি ক্লিপ অনলাইনে ভাইরাল হয়। এই শোয়ের ১৬৯তম পর্বে জিউম জি-ইউন নামে একটি ৪ বছর বয়সী বাচ্চাকে দেখানো হয়, যাকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায়। এরপরেই বাচ্চাটির অভিভাবকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন।

এই শোতে বাচ্চাটিকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার কয়েকটির উত্তর দেওয়ার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। কি কি প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে? মূলত বাবা মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন, কীভাবে সে বাড়িতে সময় কাটায়, এসব প্রশ্ন সঞ্চালক করেছিলেন তাকে। এরপরেই সে ভেঙে পড়ে। কাঁদতে কাঁদতে জানায় তার বাবা মা তাকে একা ছেড়ে চলে যায়। বাড়িতে অনেকটা সময় তাকে একাই কাটাতে হয়। বাবা মায়ের সঙ্গে তাই তার সম্পর্ক কেমন, সে জানে না।

এরপরেই এই শোয়ের ক্লিপটি ভাইরাল হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক স্তরে ভাইরাল হওয়া ক্লিপটি দেখে রীতিমত সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা জিউম জি-ইউনের গল্প জেনে বেশ ক্ষুব্ধ। তারা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। বাবা মায়ের থেকে কতটা উদাসীনতা পেলে একটা শিশু এভাবে বলতে পারে, তা ধারণা করা যায় না- এমনই বলছেন তারা।

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…


Scroll to load tweet…

নেটিজেনরা বলছেন কোনও শিশু বাবা মায়ের থেকে এই ব্যবহার আশা করে না, তাদের প্রতি এরকম ব্যবহার কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। মাই গোল্ডেন কিডসের মঞ্চে যেভাবে এই শিশুর গল্প উঠে এসেছে, তা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই কোরিয়ান রিয়েলিটি শো মাই গোল্ডেন কিডসে কাউন্সেলিং চাইছেন এমন অভিভাবকদের দেখানো হয়েছে। অভিজ্ঞ প্যারেন্টিং বিশেষজ্ঞরা এই মঞ্চে প্যারেন্টিং সলিউশনের জন্য থাকেন, যারা বাবা মাকে গাইড করেন, কীভাবে শিশুকে সার্বিক ভাবে মানুষ করা যায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।