সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত সনাক্তকরণের অপেক্ষায় প্রায় ৭০০ মৃতদেহ। ভয়াবহ এই দুর্যোগে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি লিবিয়া। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এমনকী বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

ঝড়, বন্যায় বিপর্যস্ত লিবিয়া। টানা বৃষ্টির জেরে দুটি বাঁধ ধ্বংস হওয়ায় বানভাসী অবস্থা ডেরনো শহরের। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,০০০-এ। এখনও নিখোঁজ ১৫,০০০ মানুষ। দুর্যোগের কারণে কঠিন হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধারকাজও। এমনকী মৃতদেহ উদ্ধার করার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত সনাক্তকরণের অপেক্ষায় প্রায় ৭০০ মৃতদেহ। ভয়াবহ এই দুর্যোগে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি লিবিয়া। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এমনকী বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

Scroll to load tweet…

লিবিয়ার প্রায় ধ্বংসস্তুপের আকার নিয়েছে বিমানবন্দর। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিপর্যস্থ। এমনকী কার্গো ফ্লাইটগুলিকে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা সরবরাহের কাজও। উপরন্তু, এই সঙ্কট লিবিয়ার সামরিক বাহিনীর উপর প্রভাব ফেলেছে। উদ্ধারকাজে নিযুক্ত প্রায় ১২৩ জন সৈন্যর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এই ঘটনা উদ্ধারের কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে। মূলত ডেরনো শহরের দুটি বাঁধ বিপর্যস্ত হওয়ার কারণেই এই ভয়াবহতা বলে জানা যাচ্ছে। লিবিয়ার বন্দর শহর ডেরনোর কাছে ছিল প্রায় ২৩০ ফুট উঁচু দুটি বাঁধ। দীর্ঘদিন ধরেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভুগছিল বাঁধগুলি। তাঁর ফলস্বরূপই এইবারের লাগাতার বৃষ্টি সহ্য না করতে পেরে ভেঙে যায় বাঁধগুলি। যার ফলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস গ্রাস করে গোটা শহরকে।

Scroll to load tweet…

তবে বিপর্যয় কেবল ডেরনো শহরেই সীমাবদ্ধ নেই। পূর্ব লিবিয়ার প্রায় ৮০ শতাংশ অংশ কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিনত হয়েছে। লিবিয়ার জটিল উপজাতীয় কাঠামো, প্রতিটি গোষ্ঠীর নিজস্ব শাসন অনুশীলন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। তবে লিবিয়ার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের একাধিক দেশ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পৌঁছচ্ছে ত্রাণ। জাতিসংঘ এবং রেড ক্রসের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন এবং তুরস্ক সহ দেশগুলি লিবিয়ার কঠিন সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।