- Home
- World News
- International News
- ভয়ঙ্কর! মায়ানমারের ভূমিকম্পে ধ্বংসের ছবি প্রকাশ করলো ISRO, রইল সেই ছবি
ভয়ঙ্কর! মায়ানমারের ভূমিকম্পে ধ্বংসের ছবি প্রকাশ করলো ISRO, রইল সেই ছবি
ভয়ঙ্কর! মায়ানমারের ভূমিকম্পে ধ্বংসের ছবি প্রকাশ করলো ISRO, রইল সেই ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
)
২০২৫ সালের ২৮ মার্চ মায়ানমারে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) কর্তৃক প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিগুলোতে ধ্বংসের ব্যাপকতা দেখা গেছে। ইসরোর কার্টোস্যাট-3 স্যাটেলাইট দ্বারা পৃথিবী থেকে ৫০০ কিলোমিটার উপরে তোলা উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবিগুলোতে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলোতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি দেখা যায়, যা দুর্যোগের তীব্রতা তুলে ধরে।
মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালার কাছে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল, যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মান্ডালা, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইরাবতী নদীর উপর একটি প্রধান সেতু সহ মূল অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে, যা পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এছাড়াও, মান্ডালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এর অনেক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য মহাসড়ক ও রাস্তাঘাটও ধ্বংস হয়ে গেছে, যার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ১,৭০০ ছাড়িয়েছে, আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। জরুরি দলগুলো জীবিতদের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী সাগাইং অঞ্চলও ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে, যার মধ্যে আভা ব্রিজ ও মহামুনি প্যাগোডার মতো ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোও ভেঙে পড়েছে।
এই দুর্যোগ শুধু মায়ানমারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ভূমিকম্পের কম্পন সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডের কিছু অংশেও অনুভূত হয়েছে। থাইল্যান্ড সরকার দ্রুত জরুরি প্রতিক্রিয়া দল মোতায়েন করে মায়ানমারকে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে।
মায়ানমারের সামরিক সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। জরুরি কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে, এবং ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বিতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্য আসছে, যার মধ্যে ভারত দ্রুত উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। এই সংকটময় সময়ে মায়ানমারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত সাড়া দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
জরুরি উদ্ধার প্রচেষ্টার পাশাপাশি, ইসরোর দেওয়া স্যাটেলাইট ছবিগুলো ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করতে এবং পুনর্গঠনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো পরিকল্পনা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। ত্রাণ দলগুলো কঠিন ভূখণ্ডে চলাচল এবং তাদের কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য এই ডেটা অমূল্য প্রমাণিত হচ্ছে।
মায়ানমার যখন ভূমিকম্পের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটির দীর্ঘ পুনরুদ্ধারের পথে সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষয়ক্ষতি মারাত্মক, তবে জনগণের স্থিতিস্থাপকতা এবং অব্যাহত ত্রাণ প্রবাহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে আশার সঞ্চার করে।