সংক্ষিপ্ত
রাশিয়াকে রুখতে এবার একজোট হচ্ছে ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি। তারা পরিকল্পনা করেছে, ড্রোনের প্রাচীর তৈরি করার।
রাশিয়াকে রুখতে এবার একজোট হচ্ছে ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি। তারা পরিকল্পনা করেছে, ড্রোনের প্রাচীর তৈরি করার।
নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তারা। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম দেশটির নাম হল লিথুয়ানিয়া। শুক্রবার, সেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “আমাদের শত্রুদের সেনাবাহিনীকে রুখে দেওয়ার জন্য সীমান্তে ড্রোনের প্রাচীর গড়ার চিন্তাভাবনা করছি আমরা। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিথুয়ানিয়া মূলত মস্কোকেই নিশানা করতে চাইছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে গত দুবছর ধরে ধুন্ধুমার যুদ্ধ চলছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সীমান্তবর্তী দেশগুলির নিরাপত্তা নিয়ে। তার মধ্যে কয়েকদিন আগে জঙ্গি হামলা, বেআইনি অনুপ্রবেশ এবং পাচার রুখতে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে।
লাটভিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়া এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাগ্নে বিলোটাইটে বলেন, “বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। নরওয়ে থেকে পোল্যান্ড পর্যন্ত একটি ড্রোনের প্রাচীর তৈরি করব আমরা। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের সীমান্তগুলির সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা সবসময় চাই নিজেদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে। তাই যে কোনও পরিস্থিতি ঠেকাতে আমরা তৈরি। সেইসঙ্গে সীমান্তে আমরা অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও মোতায়েন করব।” কিন্তু কবে থেকে বিষয়টি রুপায়ণ করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
গত ২০২২ সালে ইউক্রেনের ওপর সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে ইউক্রেন এবং দখল হয়ে যাওয়া শহর পুনরুদ্ধার করে তারা। তবে এবার হারানো জমি ফের দখল করার লক্ষ্যে নেমেছে রাশিয়ার নিরাপত্তাবাহিনী। ফলে, এই পরিস্থিতিতে এবং প্রবল চাপের জেরেই সীমান্তের বেশ কিছু জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন।
এখন দেখার বিষয় এটিই যে, এই নতুন পরিকল্পনা কবে থেকে বাস্তবায়িত হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।