সংক্ষিপ্ত
যে এলাকায় তেলের ট্যাঙ্কারটি ডুবে যায় সেই এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ চলাচল করছিল। এরপর ১৫ জুলাই ভারতীয় যুদ্ধজাহাজকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই সকালে যুদ্ধজাহাজটি উল্টে যাওয়া তেলের ট্যাঙ্কারটিকে সনাক্ত করে।
ওমানের উপকূলে ডুবে যাওয়া তেল ট্যাঙ্কারটিকে সাহায্য করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী তার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তেগ এবং একটি নজরদারি বিমান P-8I মোতায়েন করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী ওমান নৌবাহিনীর সহযোগিতায় সমুদ্রে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। তেল ট্যাংকারটির ১৬ জন ক্রু সদস্য নিখোঁজ, যাদের মধ্যে ১৩ জন ভারতীয়। যে এলাকায় তেলের ট্যাঙ্কারটি ডুবে যায় সেই এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ চলাচল করছিল। এরপর ১৫ জুলাই ভারতীয় যুদ্ধজাহাজকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই সকালে যুদ্ধজাহাজটি উল্টে যাওয়া তেলের ট্যাঙ্কারটিকে সনাক্ত করে।
জাহাজটি এডেন বন্দরে যাচ্ছিল
মেরিটাইম সেফটি সেন্টারের মতে, সমুদ্রে ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম প্রেস্টিজ ফ্যালকন। জাহাজটি দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দর থেকে ইয়েমেনের এডেন বন্দরে যাচ্ছিল। কমোরো-পতাকাবাহী জাহাজটি ওমানের উপকূলে রাস মাদরাকাহ এলাকার প্রায় ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সাগরে ডুবে গেছে। এর ১৬ সদস্যের ক্রুতে ১৩ জন ভারতীয় এবং তিনজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছে। সব ক্রু সদস্য নিখোঁজ। জাহাজটি এখনো সাগরে ডুবে আছে। জাহাজ থেকে তেল লিক হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও তথ্য জানা যায়নি।
এডেন উপসাগরে জাহাজে ক্রমাগত হামলা
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এডেন উপসাগর এবং লোহিত সাগরে সামুদ্রিক নৌযানের ওপর ক্রমাগত হামলা চলছে। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা এসব হামলা চালাচ্ছে। এ কারণে আমেরিকা ও ব্রিটেন যৌথভাবে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তা সত্ত্বেও বাণিজ্য জাহাজে হামলা বন্ধ হচ্ছে না। হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণের কারণে, আন্তর্জাতিক শিপিং রুটগুলি খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছে এবং এর কারণে অনেক বাণিজ্যিক জাহাজ আফ্রিকা হয়ে দীর্ঘ রুট নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে এবং লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।