সংক্ষিপ্ত
১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতেও দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল নেপালের আদালত।দুইদশক ধরে জেল খাটার পর অবশেষে তার মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করলো তারা ।
১৯ বছর জেল খাটার পর অবশেষে নেপালের জেল থেকে মুক্তি পেলেন ‘বিকিনি কিলার’ চার্লস শোভরাজ। সত্তরের দশক এবং আশির দশকের গোড়ায় তাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলা পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুনের অভিযোগ রয়েছে শোভরাজের বিরুদ্ধে। ১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতেও দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল নেপালের আদালত।দুইদশক ধরে জেল খাটার পর অবশেষে তার মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করলো তারা ।
প্রায় ১৯ বছর পর বুধবার এই ফরাসি অপরাধীর মুক্তির রায় দেওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে ভারতে। কারণে একসময় দিল্লিতে ৩ পর্যটককে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে ভারতের তিহাড় জেলেও বন্দি হিসেবে তিনি কাটিয়েছেন বহুদিন। ১৯৮৬ সালে তিহাড় থেকেও পালিয়ে যান তিনি। চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে গোয়ার এক রেস্তোরা থেকে কিছুদিন পর ফের তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১৯৯৭ এ তিনি ফ্রান্সে ফিরে গেলেও। অপরাধ তার পিছু ছাড়েনি।
শোনা যায় যেকোনো হত্যাকান্ড ঘটানোর পর তিনি সরীসৃপের মতো মসৃন কায়দায় পালাতেন। তার এই অদ্ভুত পালানোর কায়দার জন্যই তাকে পুলিশ নাম দিয়েছিল
‘দ্য সারপেন্ট’. তাঁর অধিকাংশ শিকারের পরনেই নাকি থাকত বিকিনি।তাই তাকে 'বিকিনি কিলার' বলেও সম্মোধন করা হতো একসময়। অবশেষে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুক্তি পাচ্ছেন তিনি।