সংক্ষিপ্ত

মানুষের বয়স বাড়তে দেয় না এই প্রাণীতে থাকা প্রোটিন! চাঞ্চল্যকর গবেষণা আনল বিজ্ঞানীরা, জানলে চমকে যাবেন…

ওয়াটার বিয়ারে থাকা প্রোটিন মানুষের বার্ধক্য রোধ করতে পারে। এমনই চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য দিলেন গবেষকরা। এই প্রানীতে থাকা প্রোটিন বহুদিন পর্যন্ত মানুষের বয়স ধরে রাখে। এমনই দাবি তাঁদের। এতে থাকা প্রোটিন একেবারেই বয়স বাড়তে দেয় না, এমনই দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী।

পৃথিবীর সবথেকে স্থিতিস্থাপক প্রাণীগুলির মধ্যে একটি হল ওয়াটার বিয়ার। যে কোনও প্রাকৃতিক অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এই প্রাণীটি। উচ্চ চাপ, ঝড় , ডিহাইড্রেশন যেকোনও সমস্যার মধ্যে বেঁচে থাকতে পারে ওয়াটার বিয়ার । এমনকী মহাকাশেও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। যেকোনও কঠিন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে টার্ডিগ্রেড বা ওয়াটার বিয়ার।

ওয়াইমিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউডাব্লু) গবেষকরা দেখেছেন যে টার্ডিগ্রেড বা ওয়াটার বিয়ারে উপস্থিত প্রোটিনগুলি বার্ধক্য প্রক্রিয়াটি ধীর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং মানব কোষকে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে সুস্থ রাখতে সক্ষম। সম্প্রতি প্রোটিন সায়েন্স জার্নালে নতুন এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট, সিলভিয়া সানচেজ-মার্টিনেজ এবং সহকারী অধ্যাপক থমাস বুথবির নেতৃত্বে এই যুগান্তকারী গবেষণাটি প্রমাণ দিয়েছে যে টার্টিগ্রেডে পাওয়া প্রোটিনগুলি প্রোটিন বহু কোঠিন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

ইউডাব্লু-নেতৃত্বাধীন একটি নতুন গবেষণা অনুসারে, টার্ডিগ্রেডগুলি বায়োস্ট্যাসিস নামে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চরম পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকে। তারা প্রোটিনগুলি ব্যবহার করে যা কোষের অভ্যন্তরে জেল তৈরি করে এবং তাদের মধ্যে জীবন প্রক্রিয়াগুলি ধীর করে দেয়। হোমাস বুথবির পূর্ববর্তী গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে যে টার্ডিগ্রেডস প্রোটিনের ইঞ্জিনিয়ারড সংস্করণটি হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের রেফ্রিজারেশনের প্রয়োজন ছাড়াই চিকিৎসা করতে সহায়তা করতে পারে। এটি গুরুত্বপূর্ণ ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য সংরক্ষণেও কার্যকর। সাধারণত শ্যাওলা ও লাইকেনগুলিতে টার্ডিগ্রেডস বা ওয়াটার বিয়ারগুলিকে পাওয়া যায়।