সংক্ষিপ্ত

শ্রীলঙ্কায় মুদ্রাস্ফীতির সাম্প্রতিক গতিপথ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এটি আগের বছরের সেপ্টেম্বরের সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে রয়েছে

 

শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই জুলাই মাসে কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবার এক অঙ্কের সারিতে নেমে গেছে। কিন্তু তারপরেও জল, খাদ্য ও শক্তির মত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরর দাম ক্রমশই বাড়ছে। এর থেকে তৈরি হচ্ছে অনেক সমস্যা। যা দেশটিকে একটি জটিল পরিস্থির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।

মুদ্রাস্ফীতির সাম্প্রতিক গতিপথ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এটি আগের বছরের সেপ্টেম্বরের সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যখন মুদ্রাস্ফীতি একটি বিস্ময়কর অবস্থায় অর্থাৎ ৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়ে ছিল। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি ভাল হচ্ছে মুদ্রার শক্তিশালীকরণ ও উন্নত কৃষি ফলাফলের কারণে।

শ্রীলঙ্কা গত বছর গুরুতর বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মোকাবিলা করেছিল, যা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য একটি অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছিল। যাইহোক, সোমবার প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্য একটি ভিন্ন পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছে। মূল মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস প্রদর্শন করে, জুন মাসে ১২% থেকে ৬.৩% এ নেমে গেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে দেশের আর্থিক অস্থিরতা মোকাবিলায় ২.৯ বিলিয়ন ডলারের পেয়েছে। যা মার্চ মাস থেকে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ত্বরান্বিত করছে।

এই উন্নতি সত্ত্বেই বিশেষজ্ঞরা দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলির ব্যবস্থাপনাকে অপ্টিমাইজ করার ও শক্তিশর দাম সম্পর্কিত আইএমএফ এর নির্দেশাবলীর সঙ্গে সামঞ্জস্য করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। এটি যদি ব্যার্থ হয় তাহলে মুদ্রাস্ফীতির চাপ পুনরায় বেড়ে যেতে পারে।

ডিমান্থা ম্যাথিউ, ফার্স্ট ক্যাপিটালের গবেষণা প্রচেষ্টার প্রধান, বলেছেন আগের বছরের থেকে মূল্যস্ফীতির প্রাথমিক ধারালো বৃদ্ধির প্রভাব আগামী দুই মাসের মধ্যে কমবে। তবে তারপরে একটি হালকা মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ঊাবনা রয়েছে। যা প্রভাবিত করে। মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও খাদ্যের খরচের সম্ভাব্য বৃদ্ধির মাধ্যমে। ম্যাথিউ আরও বলেছেনস বছরের শেষে ত্রৈমাসিক কিছু অস্থিরতা প্রবর্তন করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি সম্ভবত বছরের শেষ নাগাদ ৬ শতাংশ থেরে ৮ শতাংশ গিয়ে দাঁড়াবে।

এই বছরেই শ্রীলঙ্কার মুদ্রা প্রায় ১০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও বিশ্লেষণ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বছপেপ শেষের দিকে আমদানির চাহিদা বৃদ্ধির ফবে মুদ্রার মান আবারও দুর্বল হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জলের শুল্ক বাড়ানোর সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যার সঙ্গে ধাম চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে বর্ধিত বিশ্ব পণ্যের দাম ও খরা পরিস্থিতির প্রভাব রয়েছে। বিশ্লেষকদের দাবি এই কারণগুলি সম্মিলিতভাবে দামের ওপর উর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক চলমান নিম্নগামী গতিপথ নিয়ে আশাবাদী। এটি পরিবর্তনের দুই মাসের থেকে থ্রেশহোল্ডের নীচে একটি সম্ভাব্য হ্রাস সহ লক্ষ্যমাত্রা ৪%-৬% পরিসরের মধ্যে একত্রিত হওয়ার প্রত্যাশা করে৷ P.K.G. কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গবেষণার নেতৃত্বদানকারী হরিশ্চন্দ্র বলেছেন, "মাঝারি মেয়াদে, আমাদের প্রত্যাশাগুলি ৪%-৬% লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির স্থিতিশীলতার সাথে সংযুক্ত।"

মুদ্রাস্ফীতির হার দ্রুত অবসানের পর শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই বছরের জুন ও জুলাই মাসে ৪৫০ বেসিস পয়েন্টের নীতিগত হার কমানোর কাজ শুরু করেছে। এই সংশোধনমূলতক পদক্ষেপটি এপ্রিল ২০২২ থেকে মার্চ পর্যন্ত ১০৫০ বেসিস পয়েন্টের ঐতিহাসিক বৃদ্ধি অনুসরণ করেছে। হরিশ্চন্দ্র ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বছরের শেষের দিকে সুদের হার কমানোর কৌশল ধরে রাখতে চায়।

লেখক-পথুম বিক্রমারথনে, প্রধান সম্পাদক - নিউজ এশিয়া / সাধারণ সম্পাদক - পেন শ্রীলঙ্কা

 

আরও পড়ুনঃ

বাংলাদেশে ইলিশের বাজারে আগুন, ইলিশ ঘাটতির তিনটি কারণ জানিয়েছে মৎসদফতর

৫০% কমিশনে চলে মধ্যপ্রদেশ সরকার, প্রিয়াঙ্কার বিতর্কিত পোস্টের পরই পুলিশের দ্বারস্থ বিজেপি

সোশ্যাল মিডিয়া রাহুলকে গুণে গুণে গোল প্রধানমন্ত্রীর, টুইটার - ফেসবুক সবেতেই এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী